কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান সাতক্ষীরার পানিবন্দিরা

সময় টিভি প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০২০, ০৯:১৯

প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতের ৩ সপ্তাহ পরও সাতক্ষীরার পানিবন্দি মানুষের দুর্দশা কমেনি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে রিং বাঁধ দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। পূর্ণিমার গোনে জোয়ারের পানি আরও বাড়ায় মেরামত করা বাঁধ আবারও ভেঙে গেছে। পানিবন্দি মানুষ দ্রুত বাঁধ মেরামতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জেলা প্রশাসক জানান, বাঁধ পুনর্নির্মাণে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়ায় দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। গত ২০ মে রাতে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে সাতক্ষীরা জেলা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ৩০টি পয়েন্টে সাড়ে ৫৭ কিলোমিটার বেঁড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।


সবচে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বেশকিছু বাঁধ মেরামত করে। কিন্তু ১৫ দিন পর আশাশুনির হাজরাখালী কুড়িকাউনিয়া কোলা ও হরিষখালীসহ শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ীর বেড়িবাঁধ পূর্ণিমার গোনে জোয়ারের পানিতে আবারও ভেঙে যায়। পানিবন্দি মানুষের লোনা পানির প্রভাবে খাবার পানির অভাব। তারা দ্রুত বাঁধ মেরামতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছেন। এলাকাবাসীরা বলছেন, এখন আমরা রাস্তার ওপর আছি। খুব কষ্ট। কারো ঘরে হাঁটু পর্যন্ত পানি, কারো ঘরে কোমর পর্যন্ত। কয়েকটা বস্তা দিয়ে দায় সেরেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধ মেরামতে প্রশাসন বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড, আর পানি উন্নয়ন বোর্ড বলে সেনাবাহিনী করবে।


তাদের দেখার কেউ নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জনপ্রতিনিধিরা। শ্যামনগরের কাশিমাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম আব্দুর রউফ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকেরা কয়েকটা বস্তা ফেলে চলে গেছে। এখন আর তাদের খোঁজ নেই। আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল বলেন, যে বাঁধগুলো আছে সেগুলো যেন টেকসই হয় সেই ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি। সমস্যা সমাধানে সরকার সেনাবাহিনী নিয়োগ করেছে বলে জানান জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা। সাতক্ষীরা সজেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি স্বেচ্ছাশ্রমে যারা কাজ করছে তাদেকে জেলা প্রশাসন সমন্বয় করছে। তবে যাদের এ কাজের দায়িত্ব রয়েছে তারা দ্রুত কাজ করবে।


সাতক্ষীরার ৬৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া ৩০টি পয়েন্টের মধ্যে বড় ১১টি পয়েন্টে সেনাবাহিনী ও বাকি অন্য সব স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড মেরামতের কাজ করবে বরে জানা গেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও