এই ভূখণ্ডে থেকে ফাইট করবো, আমৃত্যু আপনাদের সাথে আছি : ডা. ফেরদৌস
বিশেষ ফ্লাইটে গতকাল রবিবার (৭ জুন) যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা ১২৮ জনের মধ্যে একজন ছাড়া সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। যে একজনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে তিনি হলেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক ফেরদৌস খন্দকারও। ঢাকায় এসে আটকে গেলেন করোনা চিকিৎসা দিয়ে আলোচিত এই চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি মহাখালীতে অবস্থিত ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন বলে জানা গেছে। এদিকে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের সম্পর্কে খোলামেলা কথা বললেন ডা. ফেরদৌস।
সোমবার সকালে ফেসবুক লাইভে ফেরদৌস বলেন, কেমন আছেন আপনারা, আমি ডা. ফেরদৌস খন্দকার। আজকে আমি আমার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ থেকে বলছি। গতকাল বিকেলে এসেছিলাম এক বুক আশা নিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়াবো বলে। আসার পর এয়ারপোর্টে বুঝতে পারলাম যে কিছু দুষ্ট মানুষ আমার পেছনে লেগে গেছে। যেহেতু আমার নামের পেছনে খন্দকার আছে সেহেতু তারা প্রচার করতে চেয়েছে আমি খুনি মোস্তাকের আত্মীয়, বলতে চেয়েছে খন্দকার রশিদেরও আত্মীয়। এসব নিয়ে খুব বেশি আমি চিন্তা করতে চাই না। তারপরেও আমি আসছি এরপরেও, আমি পরে কথা বলবো।
আপনারা ভালো আছেন দেশবাসী? যুক্তরাষ্ট্রেও বাঙালি কমিউনিটির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। যদিও ডিফিকাল্টি ছিল প্রথমে। আমি আপনাদের পাশে থাকবো, আপনারা আমায় গ্রহণ করবেন তো। আপনাদের পাশে আছি এই ক্রান্তি কালে। করোনা চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রে সুনাম অর্জনকারী ডা. ফেরদৌস বাংলাদেশে পৌঁছলেও তার ৮ টি স্যুটকেস এয়ারপোর্টে আটকে দেওয়া হয়েছে। সে স্যুটকেস গুলোতে রয়েছে মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই। এসব তিনি এনেছিলেন করোনার সম্মুখযোদ্ধাদের দিতে। কিন্তু এসবের জন্য ট্যাক্স দিতে হবে নাহলে ছাড়া হবে না বলে এয়ারপোর্টে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক লাইভে কথা বলেছেন ডা. ফেরদৌস। তিনি সোমবার সকালে বলেন, 'আমি ৮ টি স্যুটকেস নিয়ে এসেছিলাম। বেশকিছু মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই ইত্যাদি সামগ্রী ডাক্তার নার্স-দের দেবো বলে।
কিন্তু এয়ারপোর্টে আটকে দিলো। ট্যাক্লস নাকি দিতে হবে। রেখেই দিলো। আনতে পারিনি। আপনাদের কেউ যদি থাকেন ছাড়াতে পারবেন। ছাড়িয়ে নিয়ে যান। ফ্রনটালাইনের যে কাউকে দিতে পারেন। আমার কোনো দাবি, আমি এসেছি আপনাদের পাশে, আমি কাজটুকু করতে চাই। আপনাদের মধ্যে যদি কেউ পারেন ছাড়িয়ে সেসব যে কোনো একটি হাসপাতালে দিয়ে দিতে পারেন। আমার কোনো দাবি নেই।' ফেরদৌস বলেন, 'আমি পরশুদিন থেকে রিয়েল করোনা নিয়ে কথা বলবো। আমার পরিবার নিয়ে কথা উঠেছে। দুটো কথা না বললেই নয়।
আমার দাদা ১৯৪৯ সনে কলকাতায় মৃত্যবরণ করেন। তখন আমার বাবার বয়স খুবই কম, মাত্র ৪। আমার বাবারও আমার দাদার স্মৃতি মনে নেই। আমার দাদা এক ছিলেন, উনার দাদাও এক ছেলে ছিলেন রিয়াজ উদ্দিন খন্দকার। আমরা কুমিল্লার দেবিদ্বারের খুবই ছোট একটি গ্রামে থাকতাম। আমার নানী আমার বাবাকে উনার মেয়ের সাথে বিয়ে দেন। আবাবা এয়ারফোর্সে ঢোকেন।