কোনো অঘটন না ঘটলে সেটা হয় অভিবাসন। আর অঘটন ঘটলে এবং তা জানাজানি হলে সেটা তখন মানব পাচার হয়। সাময়িক দৌড়ঝাঁপের পর ফের চুপ। এভাবেই চলছে। সম্প্রতি এই করোনা পরিস্থিতিতে লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যার মর্মস্পর্শী ঘটনা বিষয়টিকে আবার সামনে নিয়ে এসেছে। এর আগে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার গহিন জঙ্গলে আবিষ্কৃত বাংলাদেশিদের গণকবরের কাহিনি আমাদের চমকে দিয়েছিল। তখনো অনেক মাতামাতি হয়েছিল। কিন্তু যারা গণকবরের জন্য দায়ী, সেই কুশীলবদের আইনের আওতায় আনা যায়নি। সেই ব্যর্থতাই লিবিয়ার বিয়োগান্ত উপাখ্যানের জন্ম দিয়েছে।
এই করোনাকালে ২৬ ব্যক্তি নিহত হওয়ার পরপরই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলতে পারল যে এর সঙ্গে ৫০ জনের বেশি লোক জড়িত। আটজন সন্দেহভাজনকে আটকও করা হয়েছে। এতে এটাই প্রমাণ করে যে দেশে সক্রিয় মানব পাচারকারী চক্রগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে রয়েছে বা তারা চাইলে সেটা পারে। এই চক্র যে হঠাৎ করেই এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে, তা নয়। ফলে ঘটনাটিকে বিচ্ছিন্ন করে দেখার সুযোগ নেই।
করোনাকালে ও করোনা–পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থায় কর্মসংস্থান ও বিদেশিদের চাকরি পাওয়া আগের থেকে আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়বে। তবে অপ্রিয় সত্যটা হলো দেশে কর্মসংস্থানের অভাব ও অর্থনৈতিক বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণেই মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে। নীতিনির্ধারকদের অনেকে বিষয়টিকে আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হিসেবে দেখেন। মূলত এটা রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনা ও অক্ষমতারই নিদর্শন। নাগরিকেরা তাদের বেঁচে থাকার ঝুঁকির তুলনামূলক বিচার করতে বসে দেখে তার দেশ কম অনিরাপদ নয়। সুতরাং কারণটা খুঁজতে হবে অর্থনীতিতে, বেকারত্ব মোচন করতে না পারার দিক থেকে।
বাংলাদেশে টাকা খাটানো কিংবা বাংলাদেশে নিজের কর্মজীবন গড়ে তোলা থেকে লিবিয়া গমন বা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যাওয়া বা এ রকম যেকোনো ঝুঁকিপূর্ণ জীবন বেছে নেওয়াকে ভুক্তভোগীরা শ্রেয় মনে করতে পারেন। সুতরাং শুধু থানা-পুলিশ এবং আদালত বসিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়ে মানব পাচার রোধ করার কৌশল খুব কার্যকর হবে, এমনটা বলা যায় না। আমাদের অভিজ্ঞতা তিক্ত। বাজেট আসে বাজেট যায়। কিন্তু কর্মসংস্থানের প্রশ্ন অমীমাংসিত থাকে। যাঁরা দালালদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন, তাঁরা যে একদম অজ্ঞতাপ্রসূতভাবে বা ফাঁদে পড়ছেন, তা বলা যাবে না। অনেক ক্ষেত্রে জেনেশুনেই ঝুঁকি নিয়ে দালালদের হাতে টাকা দেওয়া হয়। কারণ, মানুষ দেখে দালালেরাই কাউকে সফলভাবে বিদেশে পাঠাচ্ছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.