কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আইসিইউ পেতে হাসপাতালে ঘুরছেন করোনা রোগীরা

বিবিসি বাংলা (ইংল্যান্ড) প্রকাশিত: ০৫ জুন ২০২০, ২০:৩২

বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। তাদের মধ্যে অনেকেই মারা যাচ্ছেন যথাসময়ে আইসিইউ সেবা না পেয়ে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দিতে দেশব্যাপী ৩৯৯টি আইসিইউ ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্তু রোগীর চাপে তার কোনটিই ফাঁকা পাওয়া যায় না।

অন্যদিকে কোভিড-১৯ এর লক্ষণ আছে এমন রোগীকে নন-কোভিড হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি নেয়া হচ্ছে না।

ঢাকার বারডেম হাসপাতালের কর্মকর্তা ফরিদ কবিরের মা টানা দুই দিন পেটের সমস্যায় ভুগে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু এটি করোনাভাইরাসের লক্ষণ হওয়ায় কোন নন-কোভিড হাসপাতাল তাকে ভর্তি করতে রাজি হননি।

একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার যোগাযোগে কোনভাবে একটি শয্যা যোগাড় করতে পারলেও ততদিনে মি. কবিরের মায়ের অবস্থা এতোটাই সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে যে চিকিৎসকরা দ্রুত আইসিইউতে ভর্তির পরামর্শ দেন।

কিন্তু ঢাকার সমস্ত আইসিইউ সমৃদ্ধ হাসপাতালে চেষ্টা করেও মি. কবির তার মাকে ভর্তি করতে পারেননি।

শেষ পর্যন্ত একটি আইসিইউ পেলেও ততোক্ষণে রোগীর অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

মি. কবির বলেন, "আইসিইউ পেতে আমাদের যে সময় লাগলো, সেটা একজন রোগীকে সংকটে ফেলতে যথেষ্ট। ২৪ ঘণ্টা দেরী হলেই রোগী মরণাপন্ন হয়ে যান। আমার মায়ের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। সঠিক সময়ে আইসিইউ পেলে আমি আমার মাকে বাঁচাতে পারতাম। এই দায় সরকার এড়াতে পারে না।"

এমন আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন পেশায় চিকিৎসক ড. আলী তারেক। গতকাল সারাদিন তিনি তার বাবাকে আইসিইউতে ভর্তির জন্য হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরলেও কোথাও জায়গা পাননি। এমনকি নিজের হাসপাতালেও না।

আজ কোনভাবে একটি আইসিইউ পেলেও তার বাবার পরিস্থিতি বেশ সংকটাপন্ন বলে তিনি জানিয়েছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচ শতাংশ জটিল রোগীর আইসিইউ শয্যার প্রয়োজন হয়।

বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় আইসিইউ শয্যার সংখ্যা আগে থেকেই কম বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান।

জেলা উপজেলা পর্যায়ে আইসিইউ নেই বললেই চলে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও