করোনাকালে কেমন হবে থিয়েটার
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ২৫ মার্চ থেকে সবকিছু বন্ধ হয়। মানুষ ঢুকে যায় নিজের ঘরে। শিল্পকলা একাডেমিসহ সব সাংস্কৃতিক মঞ্চে নাটক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে তখন থেকেই। এই করোনাকালে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সবচেয়ে দুশ্চিন্তার জায়গা হলো থিয়েটার। কারণ থিয়েটার পুরোপুরিভাবে মানুষের সঙ্গে মানুষের সংযোগে গড়ে ওঠে।
দর্শকের সামনে জীবন্ত মানুষ না থাকলে তাকে থিয়েটার বলা যায় না। একক বা একদল জীবন্ত মানুষের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখেন একদল জীবন্ত মানুষ। কিন্তু করোনাকালে মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলার নিয়ম। তাহলে থিয়েটার কি হবে না? অনেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। এই ‘স্বাভাবিক হওয়া’ কথাটার মধ্যে পুরনোকে খোঁজার ব্যাপার রয়েছে। কিন্তু পুরনো পৃথিবীকে পাওয়া যাবে না আর কখনোই।
পুরনো পৃথিবীর বেশির ভাগ অংশই বদলে যাবে। মহাকাল কেবল সামনের দিকেই এগিয়ে যায়। এগিয়ে গিয়ে সে পৃথিবীর মানুষকে কিছু সীমাবদ্ধতা দেয়, কিছু চ্যালেঞ্জ দেয়। সেগুলো সঙ্গে নিয়ে মানুষ আবার নিজের চারপাশটা সহনীয় করতে শুরু করে, গড়তে শুরু করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেই দিয়েছে করোনাকে নিয়েই চলতে হবে। সুতরাং মানুষকে এই চ্যালেঞ্জটাও গ্রহণ করতে হবে। তার মানে করোনাকে সঙ্গে নিয়ে থিয়েটারটাও করতে হবে। কীভাবে সেটা সম্ভব, তাই এখন ভাবনার বিষয়। থিয়েটারকর্মীদের জন্য এটা অনেক বড় মোকাবিলার বিষয়। থিয়েটার অনুষ্ঠিত হয় মূলত দু’টি জায়গার সমন্বয়ে। এক. যেখানে অভিনেতারা অভিনয় করেন, দুই. যেখানে দর্শক বসে নাটক দেখেন। করোনাকালে মানুষের থেকে মানুষ অন্তত তিন ফুট দূরে থাকতে হবে।