ফিলিস্তিনি তরুণ হত্যায় ব্যতিক্রমী আচরণ ইসরায়েলের
ইসরায়েলি পুলিশের গুলিতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ফিলিস্তিনি তরুণের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ইসরায়েল ও আন্তর্জাতিক কর্মকর্তারা। এর আগে এমন বিবৃতি দিতে খুব কমই দেখা গেছে। তবে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের বিষয়ে আশাবাদী নন ফিলিস্তিনিরা।
রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ এই মৃত্যুতে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেন। এর আগে এমনটা করতে খুব বেশি দেখা যায়নি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে। তিনি বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার জন্য খুব দুঃখিত। আমি নিশ্চিত, দ্রুত এর তদন্ত হবে এবং একটি সিদ্ধান্ত আসবে।’একই দিন মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়কারী নিকোলে ম্লাদেনভও এই হত্যার নিন্দা জানিয়ে এটিকে একটি ‘ট্র্যাজেডি’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘যা উচিত হয়নি এবং এড়ানো উচিত ছিল।’ এক টুইট বার্তায় ম্লাদেনভ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষকে দ্রুত তদন্ত করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে, এই জাতীয় ঘটনা যাতে না ঘটে।’
নিহত ওই তরুণের পরিবারের সদস্যেরা এ ঘটনায় ইসরায়েলি পুলিশের তদন্ত নিয়ে আশাবাদী নন। নিহত তরুণের এক ভাই আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আইয়াদ হত্যার তদন্তের আদেশ দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ—এমন সংবাদের কোনো মানে নেই আমাদের কাছে। আমরা জানি যে তারা সত্য উল্টে দেবে। তারা যদি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে যে কর্মকর্তারা তাঁকে আত্মরক্ষার জন্য মেরেছিলেন, আমরা অবাক হব না।’
৩০ মে আইয়াদ হালাক নামের ৩২ বছরের ওই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণ পুরোনো জেরুজালেমে একটি স্কুল থেকে বের হয়ে হাঁটছিলেন। এ সময় ইসারায়েলি পুলিশ তাঁকে থামতে বলে। ইসরায়েলি পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানায়, পুলিশের টহল ইউনিট ওই ব্যক্তির হাতে পিস্তলসদৃশ বস্তু দেখে তাঁকে সন্দেহ করে। তারা হামলার আশঙ্কা করে তাঁকে থামতে বলে এবং ধাওয়া করে। তবে আইয়াদ আতঙ্কিত হয়ে দৌঁড়াতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তারা তাঁকে গুলি করেন।