করোনা পরীক্ষার জট কমাতে কক্সবাজারে বসছে নতুন পিসিআর ল্যাব
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে প্রতিদিনই উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ সংখ্যা। জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছুঁই ছুঁই। রোগীর ক্রম অনুসারে কক্সবাজার সদর ও চকরিয়ায় করোনার প্রাদুর্ভাব বেশিই শনাক্ত হচ্ছে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত পিসিআর (পলিমারি চেইন রি-এ্যাকশন) ল্যাবের সাথে পরীক্ষার গতি বাড়াতে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা মালুমঘাট খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালে নতুন ল্যাব বসানোর উদ্যোগ চলছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কক্সবাজার জেলার সমন্বয়কারী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দীন আহমদ, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নিজস্ব উদ্যোগে এই তৃতীয় পিসিআর ল্যাব মেশিনটি স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে । এটি স্থাপন সম্পন্ন হলে এটি হবে জেলার ৩য় পিসিআর মেশিন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. কামাল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারিভাবে কক্সবাজার জেলায় করোনার স্যাম্পল টেস্টের আর কোন ল্যাব স্থাপনের আপাতত সুযোগ নেই। কিন্তু কক্সবাজারে করোনা আক্রান্ত রোগীর আধিক্যের কারণে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে করোনার স্যাম্পল টেস্টের তৃতীয় পিসিআর মেশিনটি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে ডুলাহাজারা মালুমঘাট খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। একটি পিসিআর মেশিন স্থাপনে এক কোটি দশ লক্ষ টাকার বেশী খরচ হয় উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন আরো বলেন, এ অর্থ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এতে কোন সরকারি অর্থ সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে না। ডুলাহাজারা খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালে তৃতীয় পিসিআর মেশিন স্থাপনের কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। আগামী ২০ থেকে ২৫ জুনের মধ্যে পিসিআর মেশিনটি চালু করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জেলা প্রশাসক। এই তৃতীয় পিসিআর মেশিনটি চালু হলে কক্সবাজার জেলায় করোনার স্যাম্পল টেস্টের জট আরো কমে যাবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।