
২০০০ বছর পূর্বে মৃত্যু, আজো তার মুখমণ্ডলে দাড়ি ও চুল অবিকৃত!
মমির কথা শুনলে প্রথমেই প্রাচীন মিশরের ফারাওদের মমি এবং পরিমিডের কথা মনে হয়। হাজারো বছর অতিবাহিত হলেও মমি এখনো রহস্য হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। সবারই ধারণা, মানুষই হয়ত বা মানুষকে মমি হিসেবে তৈরি করে। তবে জানেন কি? প্রাকৃতিকভাবেও অনেক মানুষ মৃত্যুর পর মমিতে পরিণত হয়েছে।
ইরানের প্রাচীন লবণ খনি থেকে আবিষ্কৃত দেহাবশেষ তেমনই একটি প্রাকৃতিক মমি। যা সল্টম্যান হিসেবেই পরিচিত। প্রকৃতপক্ষে সল্টম্যান হলো প্রাকৃতিক মমি যা ইরানের চেহারাবাদ লবণ খনি থেকে আবিষ্কৃত হয়েছিল। লবণ খনিটি ইরানের রাজধানী তেহরানের ৩৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে জাঞ্জান প্রদেশ অবস্থিত।
মমিতে পরিণত হওয়া মানুষগুলো লবণ খনিতে মৃত্যুবরণ করে। প্রাকৃতিকভাবে লবণ দ্বারা তদের দেহাবশেষ সংরক্ষিত হয়েছিল। কয়েক বছর ধরে অনুসন্ধান করে মোট ছয়টি সল্টম্যানের সন্ধান মিলেছে এই খনি থেকে। দেহাবশেষগুলো প্রাচীন আছেমেনিড এবং সাসানিয়ান যুগসহ কয়েকটি ভিন্নযুগের অন্তর্গত।
১৯৯৪ সালে চেহরাবাদের খনি থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লবণ উত্তলনের সময় প্রথম সল্টম্যানের সন্ধান পাওয়া যায়। মমিকৃত দেহাবশেষের সঙ্গে লোহার ছুরি এবং স্বর্ণের কানের দুলসহ বেশ কয়েকটি নিদর্শনও পাওয়া যায়। সল্টম্যানের লম্বা সাদা চুল এবং দাড়ি ছিল। বর্তমানে তার মাথা তেহরানে অবস্থিত ইরানের জাতীয় জাদুঘরে একটি কাচের বক্সে সংরক্ষিত আছে।
ধারণা করা হয়, প্রাকৃতিকভাবে মমিকৃত সল্টম্যান সাসানীয় সাম্রাজ্যের সময়ে প্রায় ১৭০০ বছর পূর্বে জীবিত ছিলেন। তার বয়স ছিল ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।