শুধুমাত্র নামের মিলে জেল খাটছে অসুস্থ রুবেল
নামে নামে যমে টানে। নাম ও বাবার নামে মিল থাকায় মাদকসেবী রুবেলের পরিবর্তে আড়াই মাস ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছেন অসুস্থ রুবেল।চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কালুপুর থেকে গাঁজা সেবনের অভিযোগে ২০১৮ সালের ৬ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয় পাঁকা ইউনিয়নের চরপাঁকা কদমতলা গ্রামের মন্টু আলীর ছেলে রুবেল আলী ওরফে রুবেল বাবুলকে (২৬)। শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আবদুস সালাম ওইদিনই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৬ ধারায় রুবেল বাবুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন (মামলা নং-১৫)। পরে তাকে জেলে পাঠানো হয়। এর ৫ দিন পর রুবেল জামিনে মুক্তি পান। তিন দফা আদালতে হাজিরা দেয়ার পর হঠাৎ তিনি উধাও হয়ে যান।
একপর্যায়ে ওই বছর ১০ জুলাই এসআই বাবুল ইসলাম আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দিলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুবেল বাবুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর পরোয়ানাটি দীর্ঘসময় শিবগঞ্জ থানায় পড়ে ছিল। কিন্তু চলতি বছরের ১০ মার্চ রাতে ওই পরোয়ানামূলে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ পাঁকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমানের গ্রামের বাড়ি থেকে মাদকসেবী রুবেলের পরিবর্তে জামাইপাড়া গ্রামের মো. মন্টুর ছেলে মো. রুবেলকে (২৩) গ্রেফতার করেন। ফলে পুলিশের ভুলের কারণে গ্রামের নাম আলাদা হলেও আসামি ও তার বাবার নামে মিল থাকায় একজন নিরপরাধ অসুস্থ ব্যক্তিকে আড়াই মাস ধরে জেল খাটতে হচ্ছে।
জেলে থাকা রুবেলের বাবা মো. মন্টু জানান, তার ছেলে রুবেল রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে ভবন থেকে পড়ে দু’পা ভেঙে যাওয়ার পর থেকে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারে না। দুই বছর বিছানায় ছিল। দীর্ঘ চিকিৎসার পর কিছুটা হাঁটতে পারলেও বাম পায়ে আজও কোনো শক্তি নেই। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অন্য কাজ করতে পারে না। তাই সে পাঁকা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আতাউর রহমানের জামাইপাড়ার গ্রামের ফাঁকা বাড়িতে থেকে বাড়িটি দেখাশোনা করত। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে মামলার মূল আসামি রুবেল আলী বছর খানেক আগে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ওই এলাকা থেকে অন্যত্র চলে গেছেন।