সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর ধীরে ধীরে নিজের চেনা রূপ ফিরে পেতে শুরু করেছে মেগাসিটি ঢাকা। কর্মচাঞ্চল্য বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীতে বাড়ছে মানুষের চলাচল। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে এক রকম ফাঁকা থাকা ঢাকা এখন বেশ ব্যস্ত।
করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) ব্যাপক সংক্রমণ রোধে গেল ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। কয়েক দফায় বাড়ানো সেই ছুটি থাকে ৩১ মে পর্যন্ত। একই সময় বন্ধ থাকে গণপরিবহণ চলাচল। ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলেও ছিল সীমাবদ্ধতা। সবমিলিয়ে রাজধানীতে নাগরিকদের চলাচল ছিল খুবই সীমিত পরিসরে। অন্যদিকে লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল রাজধানীতে প্রবেশ এবং রাজধানী থেকে বের হওয়ার পয়েনটগুলো। নাগরিকদের মধ্যে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে বিভিন্ন সময় পুরো দেশে নাগরিকদের চলাচলের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। সীমিত সময়ে বাজার করা, সীমিত সময়ের জন্য দোকানপাট, সুপার শপ খোলা রাখা, সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা; এমন আরও নানান কারণে রাজধানীবাসীর জন্য চলাচলের সুযোগও ছিল সীমিত। তবে এই সবকিছু কাটিয়ে এখন রাজধানীতে এখন নাগরিকদের বেশ দৌড়ঝাঁপের মধ্যে দিয়েই যেতে হচ্ছে। খুলে গেছে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো। ফলে সকালে কর্মমুখী আর বিকেল-সন্ধ্যায় ঘরমুখো মানুষদের ছুটে চলা দেখা যায় জাদুর এই শহরজুড়ে।
মতিঝিল, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, বনানী, মহাখালী, গুলশান, মিরপুর এবং উত্তরা এলাকার বিভিন্ন সড়কের মোড় এবং প্রধান পয়েন্টগুলোতে তাই দেখা যায় মানুষের ভিড়। বড় বড় কিছু শপিংমল এখনো বন্ধ থাকলেও অনেক এলাকাতেই এখন ফুটপাতে পসরা সাজাতে দেখা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের। নাগরিকদের ব্যস্ততা আছে সেসব ঘিরেও। দুই একটি প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিচ্ছেন ফুটপাত থেকেই। ফুটপাতে হেঁটে চলা মানুষের সংখ্যাও যেন বেড়েছে এই দুই একদিনে। বাদ নেই পাড়া মহল্লার অলিগলিও। সীমিত পরিসর বা শারীরিক দূরত্ব; মানা হোক বা না হোক, এলাকার মুদি দোকান, চায়ের দোকানগুলো ফিরে যাচ্ছে নিজেদের আড্ডাস্থলের রূপে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.