লঞ্চে যাত্রীরাই নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এখনো সচেতন নন
বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী লঞ্চগুলোতে প্রতিদিনই যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আর সেই কারণে গত তিনদিনে কোনো লঞ্চেই তৃতীয় শ্রেণীর (ডেক) যাত্রীদের নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায়নি। যদিও যাত্রীরা বলছেন, প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পরিবহন করায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে লঞ্চ যাত্রায়, তাই স্বাভাবিক সময়ের মতো লঞ্চ চালনা করলে স্বাস্থ্যবিধি বজায় থাকবে বলে মনে করেন তারা।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছেন, এত মানুষের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা তাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। আর বিআইডব্লিউটিএ বলছে, জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্নয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছেন। তবে যাত্রীরাই নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এখনো সচেতন নন, এমনকি তারা নানান অযুহাতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম, বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। আর এসব যাত্রীদের জিজ্ঞাসা করলে তারাও দাঁড় করাচ্ছেন নানান অযুহাত। মাস্ক না পরা নিয়ে যাত্রীদের নানা অজুহাতের মধ্যে কেউ বলছেন মাস্ক খোয়া গেছে, আবার কেউ বলছেন কেনার সময় পাননি বা কিনে নেবেন, কেউ বলছেন আনতে মনে নেই। আবার কেউবা হারিয়ে গেছে কিংবা শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার দোহাইও দিচ্ছেন। যদিও গাদাগাদি করে ডেকে বসার বিষয়ে যাত্রীরা দুষছেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিধি-নিষেধ না থাকার বিষয়টিকে। সেসঙ্গে লঞ্চের সংখ্যা কমানোকে।
এদিকে প্রতিদিনই জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ'র কর্মকর্তারা র্যাব ও পুলিশকে নিয়ে নদীবন্দর এলাকায় বিকেল থেকেই মনিটরিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় তারা হ্যান্ডমাইক দিয়ে যাত্রী সাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণাও চালিয়েছেন। সময়ে সময়ে স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বাধাও দিচ্ছেন ঘাটে প্রবেশ করতে কিংবা লঞ্চে উঠতে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.