স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে বাস, ভাড়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
দেশে করোনা সংক্রমণের মধ্যে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী গণপরিবহন চালু হওয়ার দ্বিতীয় দিন আজ। টানা ৬৬ দিনের ছুটি শেষে রাজধানীতে চলাচল শুরু করেছে বাস। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে পরিবহন চালানোর নির্দেশনার পাশাপাশি সীমিত যাত্রী বহনের নির্দেশনা দিয়ে ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বাসভাড়া। বাসে স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে যাত্রীদের প্রশ্ন তেমন না থাকলেও, মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে।
সোমবার (২ জুন) সকাল থেকে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি বাসেই আসনের চেয়ে যাত্রীর সংখ্যা অর্ধেকেরও কম। সকালবেলা অফিসগামী যাত্রীদের চাপ থাকলেও বাসের ভেতরে সেই চাপ দেখা যায়নি। মিরপুর থেকে মতিঝিলগামী বাস কিংবা আজিমপুর থেকে উত্তরাগামী কোনও বাসেই অতিরিক্ত যাত্রী দেখা যায়নি। এসময় বাসচালককে মাস্ক মাথায় ক্যাপ এবং দরজায় চালকের সহকারীকে (হেলপার) হাতে স্যানিটাইজার নিয়ে বাসের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যাত্রী ওঠানোর সময় স্প্রে করতেও দেখা যায় তাদের। কিছু কিছু বাসের সিটে আলাদা প্লাস্টিক দিয়ে মুড়িয়ে রাখতে দেখা যায়। যদিও বিভিন্ন স্টপেজে রাস্তায় দাঁড়ানো অনেক যাত্রী দেখা গেছে।
মিরপুর থেকে মতিঝিলগামী ট্রান্স সিলভা পরিবহনের চালক জানান, মালিকের নির্দেশেই সিটে আলাদা প্লাস্টিক লাগানো হয়েছে। সব যাত্রী নেমে যাওয়ার পর পুরো বাস স্প্রে করা হয়। তাছাড়া সরকার নির্ধারিত রেটেই ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে বাসে এক সিট খালি রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী তোলার নির্দেশনা দিয়ে গত ৩১ মে রাষ্ট্রপতির আদেশে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এতে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লা রুটে বাস বা মিনিবাস চলাচলের ক্ষেত্রে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ২০১৬ সালের ৩ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে যে বাসভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল (যাত্রী প্রতি কিলোমিটারে সর্বোচ্চ ১.৪২ টাকা) সেই বিদ্যমান ভাড়া সারাদেশে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। একইভাবে রাজধানী ও চট্টগ্রাম মহানগরীরের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভাড়ার ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়।