সবজি রপ্তানিতে বাধা পরিবহন, ব্যাপক চাহিদা বহির্বিশ্বে
দেশের ফল ও সবজির চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে বহির্বিশ্বে। চাহিদা আসছে, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে। সবজির পাশাপাশি ফলের মৌসুমে রপ্তানিকারকরা প্রস্তুত থাকছেন রপ্তানির জন্য। তবে বিশ্ববাজারে ফল ও সবজি রপ্তানির চাহিদা থাকলেও বাধ সাধছে পরিবহন সমস্যা। উড়োজাহাজের ঠিকঠাক কার্গো ফ্লাইট চালু না থাকায় একমাত্র ভরসা যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ। তবে টানা দুই মাসের লকডাউনের কারণে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজও পাওয়া যাচ্ছে না।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, সবশেষ গত সপ্তাহে কুয়েত থেকে আসা দুটি কার্গো উড়োজাহাজযোগে সবজি রপ্তানি হয়েছে। আর কোমো ফ্লাইট না থাকায় আবার কোনো ফ্লাইট আসার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। তাদের মতে, দেশে এখন ফলের ভরা মৌসুম। ফলের চাহিদা রয়েছে ইতালি, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও জার্মানির মতো দেশে। ব্যাপক চাহিদা রয়েছে আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও। ইউরোপে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে প্রায় সাত টন পর্যন্ত কাঁচামরিচ রপ্তানি হতো।
সবজির চাহিদা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। ফল ও সবজির চাহিদার সঙ্গে সরবরাহ ব্যবস্থার ঘাটতি থাকায় বিশ্ব বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও আফ্রিকার বেশ কিছু দেশ। পরিবহন ব্যবস্থা বাড়লে রপ্তানির পরিমাণও বাড়বে বলে জানান রপ্তানিকারকরা। ইপিবির তথ্য বলছে, নয় মাসে (জুলাই থেকে মার্চ) মোট ৪৪টি দেশে সবজি রপ্তানি হয়েছে ১৪ কোটি ৬৭ লাখ ১৪ হাজার মার্কিন ডলার। যা টাকার অঙ্কে এক হাজার ২৫০ কোটি টাকার। সে হিসাবে প্রতি মাসে সবজি রপ্তানি হয়েছে এক কোটি ৬৩ লাখ কোটি ডলার বা ১৩৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। প্রতিদিন গড়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।