সাংবাদিকদের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে 'পিপার স্প্রে' ছিটিয়েছে মিনিয়াপলিস পুলিশ
পুলিশের হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ও সাবেক বাস্কেট বল তারকা জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর এবার সাংবাদিকের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে পিপার স্প্রে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে মিনিয়াপলিস পুলিশের বিরুদ্ধে।
রবিবার মিখাইল তুরগিয়েভ নামে পিপার স্প্রের শিকার ওই সাংবাদিক নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ দমাতে পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এমনকি সাংবাদিকরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে অনুনয় করার পরও থামেনি পুলিশ।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওই সাংবাদিক বলেন, বিক্ষোভের সময় একটি গ্যাস স্টেশনে অবস্থান নিয়েছিলেন একটি টেলিভিশন চ্যানেলের চারজন সংবাদকর্মী এবং একটি সংবাদ সংস্থার একজন সংবাদদাতা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার পর ইউএস ন্যাশনাল গার্ড সাংবাদিকদের ওই এলাকায় থাকার অনুমতি দিয়েছিল।
হঠাৎ, পুলিশের একটি মিনিবাস অতি দ্রুত গতিতে সেখানে ঢুকে পড়ে এবং গ্যাস স্টেশনে অবস্থানরত লোকজনের ওপর নির্বিচারে রাবার বুলেট ছোড়া শুরু করে। তখন সাংবাদিকরা প্রেস প্রেস বলে চেঁচামেচি শুরু করলে পুলিশ গুলি চালানো বন্ধ করে। পুলিশ সদস্যরা তখন সবাইকে ভবনের ভিতরে ঢোকার নির্দেশ দেন।
সেখানে সাংবাদিকরা নতজানু হয়ে তাদের প্রেস কার্ডগুলো দেখিয়েছিলেন, তবুও একজন পুলিশ কর্মকর্তা একজন টেলিভিশন সাংবাদিকের ওপর পিপার স্প্রে ছিটিয়ে দেয়।
ওই সংবাদদাতা গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি তার প্রেস কার্ডটি আগেই দেখিয়েছিলেন। তিনি যখন ভিতরে বসতে যাচ্ছিলেন, তখন অন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তা তার কাছে আসলে তিনি সংবাদদাতা পরিচয়পত্র দেখান। তবে জবাবে পুলিশ কিছু না বলেই ওই সাংবাদিকের ওপর পিপার স্প্রে ছিটিয়ে দেয়।
আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ও সাবেক বাস্কেট বল তারকা জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। ‘আমি শ্বাস নিতে পারিছ না’ -এমন শ্লোগানকে ধারণ করে ৩০টি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন। ফ্লয়েডের মৃত্যুতে ফুঁসে ওঠা বিক্ষোভকারীরা শুক্রবারের পর শনিবারও রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ দেখায়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.