![](https://media.priyo.com/img/500x/http://www.bd-pratidin.com/assets/news_images/2020/05/31/131233_bangladesh_pratidin_101815_bangladesh_pratidin_hase.jpg)
উন্নয়নের মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল!
আমরা উন্নয়নের নামে একটা অন্যায্য সমাজ নির্মাণ করেছি। যেখানে ন্যায্যতা নেই, সেখানে হৃদয় নেই।বাংলাদেশের সামনে কোভিড -১৯ পড়া মাত্রই প্রমাণ হয়ে গেলো, কি ঠুনকো এই দেশের উন্নয়ন! কি ভঙ্গুর এই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা!
স্বাভাবিক সময়ে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে গেলেই স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়। সে কারণেই সাধ্যাতীত ব্যয় হলেও মানুষ ছোটে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে। দেশে প্রতি বছর চিকিৎসা খাতে ব্যয় মেটাতে গিয়ে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায় ৬৬ লাখ মানুষ। অথচ স্বাস্থ্য সেবা মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর একটি। বারবার বলা সত্ত্বেও সরকার এই বিষয়ে কখনোই মনযোগী হয়নি। কারণ সরকারের মন্ত্রী এমপি এবং প্রভাবশালী বিত্তবানদের সর্দি লাগলেও তাদের ছিল ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, লন্ডন কিংবা আমেরিকা।
কোভিড-১৯ এর কথা চীন অফিসিয়ালি ঘোষণা করে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯। আর বাংলাদেশে এর সরকারি স্বীকৃতি মেলে ৮ মার্চ ২০২০। সরকারি হিসাব মতেই সরকার সময় পেয়েছিলেন ২ মাস ৮ দিন। এতটা সময় পাওয়ার পরও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিলো? দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কেবল একটিতে দু’টি থার্মাল স্ক্যানার ছিল, যার একটি আবার অল্প দিন পরেই বিকল হয়ে যায়, আর স্থলবন্দর সবগুলোই ছিল সম্পূর্ণ অরক্ষিত।