অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই জীবিকার তাগিদে ছুটছে ঢাকামুখী মানুষ
৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে খুলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। এ ঘোষণার পর থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুট পার হয়ে ঈদে ঘরমুখো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ জীবিকার তাগিদে পুনরায় ছুটতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে। গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় কোনো মতে নদী পার হয়ে পাটুরিয়া থেকে প্রাইভেট কার বা যে কোনো যানবাহনে কর্মস্থলে যোগ দিতে ছুটছে নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। নিয়মিত গণপরিবহণের চেয়ে এসব যানবাহন কয়েক গুণ বেশি ভাড়া নিলেও তা দিতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি নোঙ্গরের পর যাত্রীরা পন্টুনের ওপর উঠতে না উঠতেই নবীনগর ৪শ’, গাবতলি ৫শ’, যেখানেই নামেন ৪শ’ স্লোগান তুলে প্রাইভেটকার ও হায়েস চালকরা যাত্রীদের ডাকছেন। উপচে পড়া মানুষের ঢলে যাত্রীরা ভাড়া নিয়ে দরদামেরও সুযোগ পাচ্ছেন না। তাদের একটাই লক্ষ্য, ভাড়া যাই হোক কর্মস্থলে পৌঁছাতে হবে।
ফরিদপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রী মজিবুর রহমানের কাছে যাত্রাপথের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিবার-পরিজন নিয়ে কীভাবে যাবো সেটাই ভাবছিলাম, পাটুরিয়া ঘাটে এসে ভালো লাগছে, ফেরি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কার পেলাম, তবে ভাড়া অনেকটাই বেশি। কিছু করার নেই। তারপরও করোনা সংক্রমণের মধ্যে পরিবার নিয়ে প্রাইভেট কারে যাওয়াই আমি উত্তম মনে করছি।