৩৩ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পানামা ইয়ার্ডের ভেতরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ৩২ লাখ ৭৭ হাজার টাকার পণ্য পাচার চেষ্টার অভিযোগে দুটি বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে শুল্ক বিভাগ। গত ২০ মে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহমুদ হোসাইন খান বাদী হয়ে মামলা ২টি দায়ের করেন। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অস্বীকার করে বিভাগীয় কাস্টমসের কাছে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে জরুরি ভিত্তিতে পণ্যগুলো ছাড় করানোর দাবি জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে ভারত থেকে দুটি চালানে প্রায় ৫৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা মূল্যের সাইকেলের যন্ত্রপাতি আমদানি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আরামবাগের মেসার্স বিএইচ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এসব পণ্য ছাড় করানোর জন্য ২৩ মার্চ কাগজপত্র দাখিল করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিএন্ডএফ এজেন্ট আমিন ট্রেড এজেন্সি। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে পণ্য ছাড়ে বিলম্ব হয়।
ছাড়ের কয়েকদিন পর ১৮ মে দুপুরে আমদানিকৃত পণ্যের রাজস্ব না দিয়ে পাচারের অভিযোগে সোনামসজিদে দায়িত্বরত কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার সুনন্দন দাস, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শাহজাহান ওই পণ্য আটকে দেন। আটককৃত পণ্যের রাজস্ব প্রায় ৩২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।