চাই না হতে মর্গে পচা লাশ!
গত এপ্রিলে আমি ফেসবুকে অ্যালান করেছিলাম, বলতে পারেন ওসিয়ত করেছিলাম যে, এ যাত্রা যদি মৃত্যুবরণ করি আমার লাশটি যেন ওমানে দাফন করা হয়, কারণ আমি ওমান প্রবাসী বাংলাদেশি।
আমি চাই না প্রবাসে আমার মৃত্যুর পরে, পায়ের বুড়ো আঙুলে একটি মৃত্যুর টোকেন নিয়ে হাসপাতালের হিমঘরে বাংলাদেশের ফ্লাইটের অপেক্ষায় পচতে থাকি মাসের পর মাস। এটা আমার একটি প্রিভেন্টিভ অ্যাকশন বা ওসিয়ত। আমি চাই না, প্রবাসে আমার লাশের জন্য আমার পরিবারের মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হোক। এইজন্য আমি আমার স্ত্রী আমার মা এবং প্রবাসে কাছের বন্ধুদের সঙ্গে আমার আশার কথা জানিয়েছি।
বিভিন্ন খবরে প্রকাশ, করোনা ভাইরাস ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। বর্তমানে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বাংলাদেশিদের লাশ জমা হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালের হিমঘরে। পরিবারের সম্মতি না পাওয়ায় স্থানীয়ভাবে লাশগুলো দাফনও করা যাচ্ছে না। সত্যিই আমি অবাক, কিসের আশায়, কিসের নেশায় দেশের ঐ রক্তচোষাগুলো স্থানীয়ভাবে লাশগুলো দাফনের সম্মতি দিচ্ছে না!