কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এ জন্যই কি বলে বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা, পুলিশ ছুঁলে ৩৬?

জাগো নিউজ ২৪ মফিজুর রহমান পলাশ প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২০, ০৯:৪৮

আজ যে গল্পটা পড়তে যাচ্ছেন সেটি শ্বাসরুদ্ধকর থ্রিলিং সিনেমার চিত্রনাট্য অথবা গা শিউরে ওঠা কিশোর উপন্যাসের কাহিনীর চেয়ে কোনো অংশেই কম নয় বরং নতুন ও প্রাণবন্ততার দিক থেকে বেশি সিনেমাটিক ও রীতিমতো দুর্ধর্ষ!সময় : বুধবার সকাল ১টা। স্থান : সুন্দরবনের ভীতিসংকুল ও দুর্গম এলাকা।

বনরক্ষীদের দৃষ্টি এড়িয়ে নেহাতই মজা করতে গিয়েই সুন্দরবনের ‘প্রবেশ নিষেধ’ ও ‘বিপজ্জনক’ এলাকায় ঢুকে পড়ে একদল দুরন্ত কিশোর। কিন্তু তাদের সে মজা বিভীষিকা হয়ে উঠতে বেশি সময় নেয়নি। মনের খেয়ালে পথ হারিয়ে বনের গহীনে হারিয়ে যেতে থাকে উদ্দাম কিশোরের দল!

সংখ্যায় ওরা ছয়জন- জয়, সাইমুন, জুবায়ের, মাঈনুল, রহিম ও ইমরান। বয়স ১৬-১৭ বছরের বেশি হবে না। এদের দুজন ঢাকায় থাকে। বাকি চারজন গ্রামে। ঈদ উপলক্ষে সুন্দরবনে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে তারা। যেই ভাবনা, সেই কাজ। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা বুধবার সকালে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগরে বেড়াতে যায়।

ধানসাগর লাগোয়া এলাকায় বনরক্ষীদের অফিস। পাশেই ছোট্ট খাল। খালের ওপারে যাওয়ার জন্য একটি কাঠের পুল বানানো হয়েছে। পুলটি সাধারণ মানুষের জন্য নয়। এই সুন্দরবন পাহারা দেয়া বনরক্ষীরা এটির ওপর দিয়ে বনের গহীনে যান।

ছয় কিশোর লোকচক্ষুর অন্তরালে পুল পেরিয়ে খালের ওপারে চলে যায়। এরপর গল্প করতে করতে তারা সুন্দরবনের ভেতরে হাঁটতে থাকে। তাদের হাঁটার যেন শেষ নেই। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলো, দুপুর গড়িয়ে বিকেল। কিশোররা ভুলেই যায় তাদের ঘরে ফিরতে হবে। ততক্ষণে সুন্দরবনের বিপদসংকুল গহীন অংশে ঢুকে পড়েছে উদ্দাম কিশোরের দলটি।

বিকেলে বহু দূরের মসজিদ থেকে ভেসে আসে আসরের আজানের শব্দ। তাদের সম্বিৎ ফেরে! এতক্ষণে তবে ঘরে ফেরার কথা মনে হলো? কিন্তু পৃথিবীর বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনের কাদা-জলে বেড়ে ওঠা শ্বাসমূলের ফাঁকে ফাঁকে অপার্থিব রহস্য লুকায়িত রয়েছে। সুন্দরী, কেওড়া, গরান ও হোগলার পরতে পরতে জীবন ও মৃত্যু দুটোই আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো ডাকবে।

কিশোরের দল যে পথে ঢুকেছিল সুন্দরবনে, সে পথ তারা আর খুঁজে পেল না। এদিকে-ওদিকে এলোমেলো হাঁটাহাঁটি করে শেষে তারা চূড়ান্তভাবে পথ হারাল। বন থেকে বেরিয়ে আসার পরিবর্তে উল্টো বনের গহীনে যেতে লাগল ‘পথের মাঝে পথ হারানো’ দুরন্ত-উৎসুক কিশোরের দল। এদিকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। বেরুনোর কোনো পথ খুঁজে না পেয়ে এবার ওরা রীতিমতো ভীত, বিচলিত ও দিশেহারা।

পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ!

ছয় কিশোরের সাথে ছিল তিনটি মুঠোফোন। কিন্তু যে বিশাল বন তার বুক দিয়ে আইলা, সিডর, আম্ফানের মতো প্রলয়ঙ্করী ঝড় আটকে দিয়েছে বারংবার, সেই সুন্দরবনে ইন্টারনেটের তরঙ্গ বাধাগ্রস্ত হবে সেটাই স্বাভাবিক। মুঠোফোনে নেটওয়ার্ক আসে যায়, আসে যায়। একপর্যায়ে ওরা সমর্থ হলো- ফোন দিয়ে বাড়িতে জানাল তারা বনের গহীনে হারিয়ে গেছে!

দুর্বিনীত কৈশোর বাধ মানে না। হারিয়ে যাওয়াদের একজন বুদ্ধি করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে। নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে বনের মধ্যে পথ হারানো কিশোররা তাদের উদ্ধারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ জানায়। পুলিশ কন্ট্রোলরুম থেকে সঙ্গে সঙ্গে শরণখোলা থানার সাথে তাকে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। এদিকে নৌ-পুলিশকেও বিষয়টি অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়। তারাও প্রস্তুতি নিতে থাকেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও