ইসরাইলের সম্প্রসারণ ও আরব ভূখণ্ড

নয়া দিগন্ত সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২০, ০৭:০৯

মধ্যপ্রাচ্যে এখন করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও নানামুখী উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ১৭ মে ঐক্য সরকার গঠনের পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, জুলাইয়ের প্রথমার্ধে জর্দান উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের অংশ বিশেষ ইসরাইলের অংশ করে নেয়ার কাজটিই হবে তার সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এজেন্ডা। এর পরপরই পিএলও প্রধান মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সব চুক্তি ও সমঝোতা ২০ মে থেকে বাতিল ও অকার্যকর ঘোষণা করেছেন। অন্য দিকে জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহ ১৯৯৪ সালে ইসরাইলের সাথে করা শান্তিচুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছেন।

ট্রাম্পের প্রকাশ্য অনুমোদন অনুসারে নেতানিয়াহুর সরকার শুধু ৩০ শতাংশ ভূমি দখলে নেয়ার মধ্যে ইসরাইলের মানচিত্র সম্প্রসারণ সীমিত রাখবেন বলে মনে হয় না। এ দফায় নেতানিয়াহু পুরো পশ্চিম তীর ও জর্দান উপত্যকা ইসরাইলের মানচিত্রভুক্ত করে নিতে চলেছেন বলে মনে হচ্ছে। মাহমুদ আব্বাসের বক্তব্য সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করলে এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তিগুলোর কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করলে সেটিই সত্য বলে মনে হয়। ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি এবং এর পরবর্তী অসলো চুক্তিসহ ইসরাইল আর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে করা সব চুক্তি বাতিলের অর্থ হলো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বা কর্তৃপক্ষ আর বহাল থাকবে না। অসলো চুক্তির আওতায় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার আগে পশ্চিম তীর ও জর্দান উপত্যকার যে অবস্থা ছিল সে অবস্থায় ফিরে যাওয়া হবে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ অকার্যকর হয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই ইসরাইলের প্রশাসনের আওতায় চলে আসবে পুরো পশ্চিম তীর ও জর্দান উপত্যকা। ফিলিস্তিনিরা এই অঞ্চল ত্যাগ করে অন্য কোনো দেশে না গেলে সেখানে ইসরাইলি শাসনের অধীনে থেকে উদ্বাস্ত হিসেবে জীবন যাপন করার মতো অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। নেতানিয়াহুর উগ্র ইহুদি সহযোগীদের দাবি হলো, পুরো পশ্চিম তীর ও জর্দান উপত্যকা ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত করে নিয়ে জর্দানকে ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্র করার জন্য দিয়ে দেয়া। নেতানিয়াহু অঘোষিতভাবে গত ১০ বছর সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছেন বলে মনে হয়।

জেরুসালেমকে রাজধানী করে নেয়ার পর থেকে ইসরাইল পশ্চিম তীর ও জর্দান উপত্যকাকে দেশটির মানচিত্রের অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে। পশ্চিম তীরের ৩০ শতাংশ ভূমি ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসন থেকে তথাকথিত শান্তি পরিকল্পনার আওতায় সমর্থন জানানো হয়েছে আগেই। নভেম্বরের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগেই নেতানিয়াহু প্রশাসন এ সংযুক্তি সম্পন্ন করতে চায়। এ নিয়ে কার্যকর কিছু যাতে আরব দেশগুলো করতে না পারে তার জন্য সিরিয়া লিবিয়া ও ইয়েমেনের সঙ্ঘাতকে এমন জটিল করে তোলা হয়েছে যে, এখন আঞ্চলিক মুসলিম শক্তিমান দেশগুলো একে অন্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে করে অর্থনীতি ও সামরিক শক্তি দু’টিই নিঃশেষ করছে।

যুদ্ধের চক্রে পড়ে সৌদি অর্থনীতি উদ্বৃত্ত সম্পদ থেকে এখন ঋণনির্ভর হয়ে পড়েছে। ইরান অবরোধের মুখে পড়ে আর প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষভাবে ছায়াশক্তি দিয়ে যুদ্ধ করে করে নিজের শক্তিকে নিঃশেষ করে চলেছে। অন্য দিকে যুদ্ধের জালে নতুন করে আটকে যাচ্ছে তুরস্কও। মুসলিম শক্তিশালী দেশগুলোর নিজেদের এ সঙ্ঘাতে ইসরাইল তার মানচিত্র বিস্তৃত করার প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের জন্য কার্যকরভাবে কিছু করার মতো কেউ থাকছেন না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও