করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আরও অবারিত করছে সরকার। এজন্য আগামী বাজেটে কালো টাকা বৈধ করার পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে শিল্প ও ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া নির্ধারিত বা প্রযোজ্য হারের সঙ্গে অতিরিক্ত কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করা যায়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন (২০২০-২১) বাজেটে এসবের পাশাপাশি আরও সুযোগ বাড়ছে। জরিমানা ছাড়াই শুধু ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাব থাকতে পারে।
এ ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন করবে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগামী দুই বছরের জন্য এ সুযোগ থাকতে পারে। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, এতে ঢালাওভাবে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ তৈরি হবে। এতে করে দেশ থেকে অর্থ পাচার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে সৎ করদাতারা নিরুৎসাহিত হবেন। বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, করোনার কারণে অর্থনীতির ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকার মনে করছে, এ সুযোগ দেওয়া হলে কালো টাকার কিছু অংশ অর্থনীতির মূল স্রোতে আসবে এবং বিনিয়োগ বাড়বে। বেগবান হবে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পিআরআইএর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ঢালাওভাবে এ সুযোগ দেওয়া ঠিক হবে না। কারণ অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, কালো টাকার সুযোগ অবারিত করেও কোনো সুফল আসেনি। এটা করা হলে সৎ করদাতাদের প্রতি অবিচার করা হবে। এ সুযোগ নিয়ে বিনিয়োগ না করে অনেকেই টাকা দেশের বাইরে পাচার করে দেবে। সেজন্য অর্থ পাচার রোধে কঠোর আইন করার পরামর্শ দেন তিনি। এনবিআরের কর্মকর্তারা বলেন, আয়কর আইনে আয়ের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন না করা হলেও দুদকসহ অন্য আইনে নজরদারির সুযোগ আছে। যে কারণে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায় না। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, মূলত বিনিয়োগ চাঙ্গা করতে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ অবারিত করতে চায় সরকার। এ জন্য উৎপাদনমুখীসহ অন্য যে কোনো খাতে বিনিয়োগের ঘোষণা দিলে তার আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে ঘোষণা করা টাকার বিপরীতে শুধু ১০ শতাংশ কর দিতে হবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.