মালয়েশিয়ায় এক প্রতিষ্ঠানে ২৪ বাংলাদেশির করোনা শনাক্ত
মালয়েশিয়ায় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে নতুন করে ১০৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৪জন বাংলাদেশী পরিচ্ছন্নতা শ্রমিক রয়েছেন যারা একটি ক্লিনিং কোম্পানিতে কাজ করছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৯ মে) বিকালে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. নুর হিশাম আব্দুল্লাহ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিদেশি শ্রমিকবান্ধব জায়গাগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এসব জায়গাতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলেও তিনি জানান। দেশটিতে শুক্রবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৭৩২ জন। মারা গেছে ১১৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৬ হাজার ২৩৫ জন।
নতুন ক্লাস্টারে ২৪ বাংলাদেশীর মধ্যে সেলাঙ্গরের কুয়ালা লাঙ্গাতের একটি হোস্টেলে অবস্থানরত ২০ জন রোগীকে বর্তমানে সুনগাই বুলোহ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অপর ৪ জন যারা নেগারি সেম্বিলানের নিলাই এলাকায় অবস্থান করছিলেন, বর্তমানে ওই ৪ বাংলাদেশি নেগারি সিম্বিলানের টুঙ্কু জাফর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বিশেষজ্ঞরা সরকারকে শ্রমিকবান্ধব এলাকাগুলোতে করোনা শনাক্তে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া মালয়েশিয়ার জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা মন্ত্রী ইসমাঈল সাবরি ইয়াকুব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ব্যবসার সব খাতে কর্মরত অভিবাসী কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে কভিড-১৯ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
এক্ষেত্রে পরীক্ষার খরচ নিয়োগকর্তাদেরই বহন করতে হবে। সম্প্রতি অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। মূলত এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসী কর্মীদের জন্য করোনা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা আরোপ করল মালয়েশিয়া সরকার। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে লকডাউন শিথিল করায় লোকেরা নির্বিঘ্নে চলাফেরা করছে, সেখানে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। মহামারি প্রতিরোধে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. নুর হিশাম আব্দুল্লাহ বেশ প্রশংসিত হলেও সম্প্রতি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ বেশ কিছু শর্ত রেখে বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে এখন দেশটিতে নতুন করে ক্লাস্টার সংক্রমণ ধরা পড়ছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.