মুন্সীগঞ্জে গজারিয়ায় সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ও স্কুল পড়ুয়া ছেলেদের মারামারিকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা জরিমানার রায় দিলেন গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুতালেব ভুইয়াসহ স্থানীয় মাতব্বর বা শালিসগণ। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে। মার ধর করাটা যেমন গুরতর অন্যায় তেমনি বিচারে সাড়ে ৬ লাখ টাকা জরিমানা ধার্যক রাও আরেকটা অন্যায় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় গজারিয়া থানায় মামলা চলমান।
সাড়ে ৬ লাখ টাকার জরিমানা থেকে নগদ ৫০হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। এই জরিমানার টাকাটা এখন পর্যন্ত বাদী পক্ষকে দেয়া হয়নি। সালিশ বৈঠকের সভাপতির কাছে জিম্মায় রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান। গ্রাম্য সালিশ বা ইউনিয়ন পরিষদের বিচারে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা ও ৬ মাসের জেল দেয়ার বিধানের কথা স্বীকার করেন গজারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব ভুইয়া। সাড়ে ৬ লাখ টাকা জরিমানার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা মা ছেলের চিকিৎসা খরচসহ ধার্য করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৩ এপ্রিল বিকালে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া গ্রামে বাদী বিবাদীর ছেলেদের মারামারিকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে বাদী পক্ষের হামলায় আকলিমা ও তার ছেলে সাইদ গুরুতর আহত হয়। ১১ দিন চিকিৎসার পরে আকলিমার দুটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন হয়েছে। এখনো আশংকা মুক্ত নন তিনি।
আহত আকলিমার বোন বাদী কাজল জানান, আক্তারের ছেলে আমার বোনের ছেলের প্যান্ট খুলে ফেলায় আমার বোনের ছেলে আক্তারের ছেলেকে থাপ্পড় দেয়। পরবর্তীতে আক্তারের লোকজন এসে আমার ছেলেকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি মারতে থাকে। ঘটনা শুনে আমার বোন আকলিমা দৌড়ে গিয়ে ছেলেকে বাঁচাতে গেলে তার উপরও হামলা করে। এমনকি জুইত্তা নিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে হামলা করে। স্থানীয়রা উদ্ধার না করলে আমার বোন বা বোনের ছেলে সেই দিন মার্ডার হতো। বিবাদী আক্তার আমাদের জায়গায় ওয়াল দিয়েছিল। সেই ওয়াল বিচার সালিশের মাধ্যমে ভেঙ্গে দেয়া হয়। সেই থেকে আমাদের সাথে তার বিরোধ চলে আসছি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.