কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

অর্ধেকের কম যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়ার কথা ভাবা হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

এনটিভি প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২০, ২৩:০০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে অর্ধেকের চেয়ে কম যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়ার কথা ভাবছে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল সেটা ৩০ মের পর উঠে যাচ্ছে। ৩১ তারিখ থেকেই সীমিত আকারে গণপরিবহন চলাচল শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে যায় সত্য, তবে ঝুঁকির কথা চিন্তা করে এই পরিস্থিতি এভাবে থামিয়ে রাখা যায় না। আমাদের যেমন স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করতে হবে, তেমনি অর্থনীতির কথাও চিন্তা করতে হবে। উন্নয়নশীল একটি দেশ আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম, এরই মধ্যে করোনভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পরে আমাদের যাত্রা কিছুটা থমকে গেছে। এই অবস্থার উত্তরণ আমরা করতে চাই। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য হলো ভয় নয়, সচেতনতার মাধ্যমে জয়। এখনও যেহেতু প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, কাজেই আমাদের সচেতনতার মাধ্যমেই করোনাভাইরাসকে জয় করতে হবে।’

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, ‘সেই আলোকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা গণপরিবহণ চালুর ব্যবস্থা করবো। লঞ্চ শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে বিআইডব্লিওটিএ-এর আলোচনা হবে। কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চালানো যায়। ৫০০ জন যাত্রী একটি লঞ্চে আাসে সেই ক্ষেত্রে আমরা ২০০ জন যাত্রী আনা নেওয়া করব। সেই ক্ষেত্রে পরিবহন খরচটা উঠে আসবে কি না, সেটাও একটা বিষয়। সে ক্ষেত্রে আমরা মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমাদের পরিবহন চালু করতে হবে।’

স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চালু সংক্রান্ত একটি বৈঠক গত ২০ মে হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, ‘মার্চের ৮ তারিখ থেকে লিফলেট বিতরণ করেছিলাম এবং আমাদের বিভিন্ন নদীবন্দরগুলোতে আমরা থার্মাল দিয়ে প্রাথমিকভাবে তাপমাত্রা পরিমাপ করার শুরু করেছিলাম। প্রথম থেকেই যাত্রীদের সচেতন করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রত্যেকটি নদীবন্দরে আমরা মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করার পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। যার আলোকে সদরঘাট বরিশাল ও চাঁদপুরে চালু হয়েছিল।’

খালিদ মাহমুদ আরো বলেন, আমরা চাই আমাদের শ্রমিক ও যাত্রীরা যেন ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে। সেই চিন্তা করেই আমরা আলোচনার ভিত্তিতেই কিভাবে এটা সমন্বয় করা যায় স্বাস্থ্যসম্মতভাবে, পরিবহন খরচ কিভাবে মেটানো যায় সে ব্যপারে যাত্রী পরিবহন শুরু করবো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও