ভারতের উত্তরপ্রদেশে মাটিতে পুতে রাখ এক সদ্যোজাত শিশুকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। কাদামাটির তলা থেকে উঠে এল তার কান্নার আওয়াজ পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। ঝোপঝাড়ের পাশে থাকা কাদামাটির তলা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই শিশুটিকে।
জীবন্ত অবস্থাতেই শিশুটিকে কেউ বা কারা সেখানে পুঁতে রেখে গেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রাখে আল্লাহ মারে কে? শিশুটিকে কবর দিয়ে চলে যাওয়া হলেও তার একটি পায়ের পাতা কোনওভাবে মাটির উপরে থেকে যায়। সেই সঙ্গে কাদামাটির তলায় চাপা পড়া অবস্থায় চিল চিৎকারে সেও নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছিল, যা কানে গিয়ে পৌঁছায় স্থানীয় মানুষজনের।
শিশুর কান্নাকে অনুসরণ করে এলাকার মানুষজন সেখানকার একটি বাড়ির পাশে থাকা ঝোপঝাড়ের কাছে গিয়ে সন্ধান শুরু করে। কাদা এবং বালিতে একাকার ওই এলাকায় সন্ধান চালাতে চালাতে তাঁরা ঠোক্কর খায় সদ্যোজাতের মাটির উপরে বেরিয়ে থাকা পায়ের পাতায়। তারপরেই তাড়াতাড়ি কাদামাটির তলা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান গ্রামবাসীরা।
উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থ নগর জেলার সোনৌড়া গ্রামের ওই ঘটনায় স্থানীয় মানুষজন থেকে পুলিশ প্রশাসন, সকলেই নড়েচড়ে বসেছে। জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া শিশুটি একটি ছেলে।
নবজাতককে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে পরিষ্কার করে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। শিশুটির শরীরে করোনা সংক্রমণ আছে নাকি সেই পরীক্ষাও করা হয়। যদিও সেই রিপোর্টে উদ্বেগজনক কিছু মেলেনি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই নবজাতক এখন স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। তবে তাঁর পেটের মধ্যে কিছু কাদামাটি ঢুকে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। শিশুটির প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে ২৬০ কিলোমিটার দূরের ওই গ্রামের ঘটনাটি বেশ সাড়া ফেলেছে সেখানে। কে বা কারা ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সূত্র: এনডিটিভি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.