২ বছর পর হামজাকে পাবে বাংলাদেশ?
বাংলাদেশের ঈদ খুব মিস করি। ঈদে বাংলাদেশে খুব মজা হয়।'ইংলিশ প্রিমিয়ারে খেলা একজন ফুটবলারের মুখে বাংলাদেশের ঈদের গল্প। এক সঙ্গে নামাজ পড়তে যাওয়া, সেমাই খাওয়া, সেলামি পাওয়া। বিশ্ব ফুটবলে আলো ছড়াতে শুরু করা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরীর হৃদয়ে ছোটবেলার সেই ঈদের দিনগুলির গল্প এখনো তরতাজা। ইংল্যান্ড থেকে প্রথম আলোকে শুনিয়েছেন সেই গল্প। এখনো বাংলাদেশের ঈদ মিস করেন 'ইংলিশ ' ফুটবলার হামজা চৌধুরী।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার ব্যাপারে শুনিয়েছেন আশার গল্প। হামজার জন্ম ইংল্যান্ডে। তবে বাঙালি পরিবারে জন্ম হওয়ার সুবাদে বাংলার আলো–বাতাস সঙ্গী করে বড় হয়েছেন। বাংলাদেশে হবিগঞ্জের বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে তাঁর শেকড় গাঁথা। ছয় মাস বয়স থেকে পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে যাতায়াত শুরু। বাংলাদেশে আসা হয়েছে প্রায় ২০ বার। সর্বশেষ এসেছিলেন প্রায় পাঁচ বছর আগে। কৈশোরের রঙিন সময়ে বাংলাদেশে অবস্থান করা তো আর কম হয়নি। চাচাতো ভাই–বোন ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে পালন করেছেন ঈদ। বছর ঘুরে আরও একটি ঈদ এলে অন্য আট দশজনের মতো কৈশোরের সেই দিনগুলোতে ফিরে যান হামজা, 'বাংলাদেশে আমার ঈদের অনেক স্মৃতি আছে।
চাচাতো ভাইদের সঙ্গে নামাজ পড়তে যেতাম। চাচীরা সেমাই রান্না করতেন। চাচারা টাকা দিতেন। বাংলাদেশের ঈদে অনেক আনন্দ হয়।' করোনাকালে থমকে গিয়েছে বিশ্ব। ইংল্যান্ডের অবস্থা তো খুবই ভয়াবহ। অন্য সময়গুলোতে মা–বাবার সঙ্গে হই-হুল্লোড় করে ঈদে পালন করলেও এবার আর সে সুযোগ ছিল না। তবু লেস্টারের বাড়ি থেকে ঠিকই ছুটে এসেছিলেন মা– বাবার সঙ্গে দেখা করতে, 'অনুশীলন করে ফেরার পথে মা–বাবার সঙ্গে দেখা করতে এসেই আপনার সঙ্গে কথা বলছি। মা সেমাই রান্না করেছেন। পরিবারের সঙ্গে থাকলে ঈদের একটা আনন্দ থাকে।' বলেন হামজা। ইংলিশ ফুটবলে তারুণ্যের দীপ্তি ছড়ানোর সুবাদে ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় তারকাদের ছোট তালিকায় রাখা যায় হামজাকে।
এই মৌসুমে ২০১৫-১৬ মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়া লেস্টার সিটির একাদশে নিয়মিত দেখা গেছে তাঁকে। এর আগে ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেলেছেন অনূর্ধ্ব– ২১ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলা মানে মূল জাতীয় দল থেকে এক পা দূরে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।