কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নওয়াজুদ্দিনের বিরুদ্ধে মারাত্মক সব অভিযোগ

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২০, ০৮:৫৯

ভারতের উত্তর প্রদেশের এক কৃষক পরিবারে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর জন্ম। ভাগ্যের অন্বেষণে একসময় দিল্লিতে পাড়ি জমান। সেখানেই মঞ্চ অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মে এই অভিনেতার। পরে তাঁকে ভারতের জাতীয় নাট্যশালায় দারোয়ানের চাকরি করতে হয়েছিল দেড় বছর। এভাবেই নাট্যশালার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। সেখান থেকে বড় পর্দায়। তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন নিজেকে। ‘মাঝি দ্য মাউন্টেন ম্যান’ ছবিতে অসাধারণ অভিনয় করে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন এই অভিনেতা। সে সময় টুইটারে নওয়াজুদ্দিন সম্পর্কে ভারতের প্রবীণ অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা লিখেছিলেন, ‘নওয়াজুদ্দিন এ শতকের সেরা আবিষ্কার।’

সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্তান নিজেকে আজ প্রতিষ্ঠিত করেছেন বলিউডে। অনেক প্রসংশা, বিশেষণ তাঁর নামের সঙ্গে। কিন্তু আলোর বিপরীতে নিকষ কালো অন্ধকার। সুনামের পাশাপাশি নওয়াজুদ্দিনের বদনামও কম নয়। সে সূত্রে দিনকাল মোটেও ভালো যাচ্ছে না তাঁর। ৭ মে নওয়াজের হোয়াটসঅ্যাপ ও ই–মেইলে তালাকের আইনি নোটিশ পাঠান তাঁর স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকী। অভিযোগ গুরুতর। অভিযোগ ব্যক্তি নওয়াজ এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। শুধু স্ত্রী নন, অভিযোগ করেছেন সাবেক প্রেমিকাও।

নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পারিবারিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন আলিয়া সিদ্দিকী। তাঁর প্রকৃত নাম অঞ্জনা কিশোর পাণ্ডে। অভিযোগ, নওয়াজ গায়ে হাত না তুললেও অভিনেতার ভাই শামাস সিদ্দিকি আলিয়াকে মারধর করেছেন।

বলিউডলাইফকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে নওয়াজের স্ত্রীর অভিযোগ, ‘নওয়াজ আমার ওপর কোনো দিনও হাত তোলেনি। কিন্তু ওর চিত্কার, ঝগড়া আমার পক্ষে অসহনীয় হয়ে উঠেছিল। শুধু ওটাই (মারধর) বাকি ছিল। কিন্তু ওর পরিবার আমার ওপর মারাত্মক মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে। ওর ভাই আমাকে মেরেছে পর্যন্ত। ওর মা, ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী মুম্বাইতে আমাদের সঙ্গেই থাকত। অনেক বছর ধরে আমি এগুলো সহ্য করছি। ওর প্রথম স্ত্রী ঠিক একই কারণে ওকে ছেড়ে গিয়েছিল।’

এখানে শেষ না, তাঁর স্ত্রীর দাবি এটি নাকি সিদ্দিকি পরিবারের ঐতিহ্য! সিদ্দিকি পরিবারের স্ত্রীরা তাদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত সাতটা এই ধরনের মামলা করেছেন। আজ পর্যন্ত চারটে ডিভোর্স হয়েছে ওই পরিবারে, এটা পাঁচ নম্বর। তাদের পরিবারটাই ওই রকম। লোকলজ্জা ঢাকার অনেক ব্যর্থ প্রচেষ্টা করেছি, কিন্তু আর কত সহ্য করব!’

আলিয়া সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার আত্মসম্মানটা ওরা সবাই মিলে ধ্বংস করে দিয়েছে। পরিবার–পরিজন ছেড়ে আমি শুধু ভালোবাসার টানে এসেছিলাম ওর ঘরে। কিন্তু আমার জীবনটা খুব বাজেভাবে পাল্টে গেল।’

মুম্বাইয়ের ‘স্পটবয়’ পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলিয়া জানান, একটা নয়, তাঁর সঙ্গে নওয়াজের বিচ্ছেদের হাজারটা কারণ রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘সারা জীবন আমাকে অপমান করে গিয়েছে ও। “গ্যাংস অব ওয়াসিপুর” ছবির পর হঠাৎ করেই ওর নামডাক হতে শুরু করে। এরপরেই আমার প্রতি ওর আচরণ বদলে যেতে থাকে। আমরা যখন বিয়ে করি, তখন নওয়াজের কিচ্ছু ছিল না। তখন বাসা ভাড়া আমি চালাতাম। এখন ওর চারটে বাংলো হয়েছে, কিন্তু একটা সময় কী ছিল ওর? আজ সব ভুলে গিয়েছে ও। সব।’

অভিযোগে আরও বলেন, ‘আমার সন্তানের তখন ছয় মাস বয়স। সে সময় প্রায় এক বছরের মতো সময় ধরে একা ছিলাম আমি। আমি ওকে বিয়ে করেছিলাম বলে আমার পরিবারও আমার সঙ্গে সব যোগাযোগ ছিন্ন করেছিল। শুধু তা–ই নয়, আমি বাইরে বেরোলেই ওর গার্ল ফ্রেন্ডরা বাড়িতে ঢুকত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও