বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড : ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ
রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত আইসোলেশন সেন্টারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হয়েছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। এ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (২৭ মে) রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে আগুন লাগলে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন মাত্র ১০ মিনিট স্থায়ী হলেও এতে পুড়ে মারা গেছেন পাঁচজন।
ফায়ার সার্ভিস সদরদফতরের ডিউটি অফিসার কামরুল আহসান জাগোনিউজকে জানান, ইউনাইটেড হাসপাতালের নিচতলার একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের খবরে রাত ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট সেখানে পাঠানো হয়। রাত ১০টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন ও ধোঁয়ার কারণে সেখান থেকে হয়তো তারা দ্রুত বের হতে পারেননি। আর কেউ হতাহত রয়েছেন কি-না ও আগুনের কারণ উদঘাটনে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। তবে গুলশানের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, আইসোলেশন ইউনিটে কে কে ছিলেন, তাদের কেউ বেঁচে বের হতে পেরেছেন কি-না, এ বিষয়ে আমরা জানার চেষ্টা করছি। তবে হতাহতের সংখ্যা কম নয়।
ইউনাইটেড হাসপাতালের কমিউনিকেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভলপমেন্ট বিভাগের প্রধান ডা. সাগুফা আনোয়ার জাগোনিউজকে বলেন, জরুরি বিভাগে নয়, আগুন লেগেছে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে। করোনা রোগীদের জন্য পাঁচ শয্যার একটি আইসোলেশন সেন্টার খোলা হয়েছে মূল ভবনের বাইরে একটি একতলা ভবনে। সেখানে চারজন রোগী ভর্তি ছিলেন। রাতে হঠাৎ সেখানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। প্রথমে তিনি অগ্নিকাণ্ডের পরপরই দ্রুত ডাক্তার, নার্স ও রোগীদের সরিয়ে নেয়ার কথা দাবি করলেও পরে ক্ষুদে বার্তায় জানান, সেখানে হতাহতের ঘটনা আছে। তবে নিহত কজন তা নিশ্চিত নয়।