মা-ই আমার সব

ঢাকা টাইমস প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২০, ২৩:৪৫

আমি সারা জীবন দেখেছি আমার মা কাজ করেন। আমার মা নীলুফার মঞ্জুর, ঢাকার সানবীমস স্কুলের অধ্যক্ষ। আমার বয়স পঞ্চাশ, কিন্তু আজ পর্যন্ত একদিনও দেখিনি, মা কাজ ছাড়া আছেন। আমার বা আমার বোন মুনিজে মঞ্জুরের জন্য এটাই স্বাভাবিক। অনেকের জন্য স্বাভাবিক হচ্ছে যে তাদের মা কাজ করেন না। আমার স্ত্রী সামিয়া হক, তিনি নিজেও একজন কর্মজীবী মা, আমাদের তিন মেয়ে, এক ছেলে। আমার ছেলেমেয়েরা সানবীমস স্কুলে পড়ছে, আমি চাইব ওরাও যেন কর্মজীবী হয়। কাজ করবে না—এই অবস্থা যেন না আসে।

মা কর্মজীবী হওয়ায় আমি কর্মজীবী নারীদের প্রতি সংবেদনশীল হয়েছি। অনেক কিছুর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে বাংলাদেশে একজন নারীকে কাজ করতে হয়। সংসার, সন্তানের অসুখ, পারিবারিক নানা ঝঞ্ঝা—সব সামলিয়ে তাকে কাজে আসতে হয়, সেসবের প্রভাব যেন কাজের ক্ষেত্রে না পড়ে। মায়ের কাছে থেকে যেহেতু আমি শিখেছি মানুষের বিষয়ে সংবেদনশীল হতে, কিছুটা হলেও আমাদের প্রতিষ্ঠানে সেটা প্রতিফলিত করার চেষ্টা করি। সব সময় পারি না।

ব্যক্তিগত উপলব্ধি থেকে আরেকটি কাজ আমরা করার চেষ্টা করেছি অ্যাপেক্সে, কোনো নির্দিষ্ট কাজ নারীর বা কোনো নির্দিষ্ট কাজ পুরুষের—এই ভাবনা থেকে বের হয়ে এসেছি। আমাদের কারখানায় যেসব বিভাগে আগে শুধু পুরুষেরা কাজ করতেন, পরে সেসব বিভাগে নারীদেরও নেওয়া হয়েছে। তারা অনেক ভালো করছেন সেখানে। নারী–পুরুষের মধ্যে লিঙ্গ দিয়ে কাজের ক্ষেত্রে কোনো বিভাজন না করার মানসিকতা তৈরিতে আমার মনে হয় আমার মায়ের অবদান অনেক। তিনি কোনো দিন আমাদের বুঝতে দেননি, এটা ছেলের কাজ, এটা মেয়ের কাজ। এটা তিনি কোনো দিন বলেননি, এই চর্চাও করেননি।

মায়ের একটা গুণের কথা বলতেই হবে, আমার মা খুব অন্যের কথা ভাবেন, সবাইকে সন্তুষ্ট করতে চান। বাস্তবে সব সময় সেটি করা সম্ভব না। কীভাবে যেন সব সময় অন্যের মনের ভালো–মন্দ সবকিছু বুঝতে পারেন। সেই কষ্ট খারাপ লাগা লাঘব করার চেষ্টা করেন। ওই সবাইকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে, সবার মনমতো করে করতে না পারলে মাঝেমধ্যে অন্যের থেকে আঘাত পান মনে। মা কষ্ট পাচ্ছেন দেখলে ছেলে হিসেবে আমার খুব কষ্ট হয়। তবে মায়ের এই গুণের জন্য সন্তান হিসেবে গর্ববোধও করি।

সানবীমস স্কুলে ৯০০ জন ছাত্রছাত্রীকে তিনি নিজের বাচ্চা বলেন। তিনি যখন বলেন ‘আমার বাচ্চারা’, তখন বুঝে নিতে হবে আমাদের দুই ভাইবোনের কথা বলা হচ্ছে না। স্কুলের বাচ্চাদের বলেন আমার বাচ্চারা। স্কুলের কোনো বাচ্চার যেকোনো বিষয়ে তিনি বিচলিত হন। সারাক্ষণ তাদের কথা ভাবেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত