তিন মাসের মনগড়া বিল ভোক্তা স্বার্থবিরোধী: ক্যাব
করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় সরকার ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এই তিন মাস আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল নেয়া বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। করোনার কারণে মিটার রিডিং নেয়া সম্ভব না হওয়ায় ওই তিন মাসের বকেয়া বিল মনগড়া হিসাবের ভিত্তিতে দেয়া হয়েছে এবং একসঙ্গে তা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে। সরকারের ভোক্তাবন্ধব ঘোষণাকে ভোক্তাবিরোধী ঘোষণায় পরিণত করেছে দেশের বিদ্যুৎ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো।বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালারি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম সাক্ষরিত আবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ছয় দফা সুপারিশ করেছে ক্যাব।
অভিযোগ রয়েছে, ওইসব বিলে দাবিকৃত অর্থের পরিমাণ হিসাবের কোনো যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য ভিত্তি নেই। অভিযোগের সপক্ষে যেসব প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওইসব বকেয়া বিলের পরিমাণ সম্ভাব্য যৌক্তিক পরিমাণ অপেক্ষা ১০ গুণেরও বেশি। ক্যাব বলছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এমন ঘটনা সরকারের ভোক্তাবন্ধব ওই ঘোষণাকে ভোক্তাবিরোধী ঘোষণায় পরিণত করেছে। ফলে বিদ্যুৎ খাত এখন বিপর্যয়ের শিকার।ক্যাবের আবেদনে বলা হয়েছে, পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রদত্ত বিল সরকারি ওই ঘোষণা ও বিইআরসি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ফলে তা অবৈধ ও বেআইরি।
এই বেআইরি কৃতকর্মে ভোক্তারা একদিকে যেমন নিপীড়িত, অন্যদিকে তেমন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ। ফলে এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ জরুরি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক। এর পরিপ্রেক্ষিতে ছয়টি প্রস্তাব দিয়েছে ক্যাব। প্রস্তাবগুলো হলো: বিতরণ ইউটিলিটি নির্বিশেষে বর্ণিত সব বিল বাতিল/প্রত্যাহারের আদেশ হতে হবে। এ আদেশ না হওয়া পর্যন্ত উক্ত বিলসমূহের ওপর স্থগিত আদেশ হতে হবে। প্রত্যেক ভোক্তাকে মাসভিত্তিক আলাদা আলাদা নতুন বকেয়া বিল প্রদানের জন্য ইউটিলিটিসমূহকে আদেশ দিতে হবে। ভোক্তা সেসব বিল আলাদাভাবে পরিশোধের সুযোগ পাবে।