ভেনিজুয়েলার জলসীমায় ইরানি তেলের ট্যাংকার
যুক্তরাষ্ট্রের নিধোজ্ঞায় পাত্তা না দিয়ে ইরানি পতাকাবাহী তেল ট্যাংকার ‘ফরচুন’ রোববার সকালে ভেনিজুয়েলার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জলসীমায় প্রবেশ করেছে। সাগরে জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মেরিনট্রাফিক-এর ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে। খবর পার্সটুডের।
ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্সনিউজ জানিয়েছে, ভেনিজুয়েলার পানিসীমায় প্রবেশ করার পর দেশটির নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সেনারা ইরানি তেল ট্যাংকারকে স্কর্ট করে ভূভাগের দিকে নিয়ে যায়।
রাশিয়ার নিউজ চ্যানেল রাশাটুডে জানিয়েছে, ‘অ্যাডাম জোসেফ’নামের যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ ইরানি তেল ট্যাংকারটিকে অনুসরণ করছিল। কিন্তু এটি ভেনিজুয়েলার জলসীমায় প্রবেশ করার পর যুদ্ধজাহাজটি ফিরে গেছে।
রাশাটুডে জানিয়েছে, ফরচুনের পেছন পেছন ইরানের অপর চারটি তেল ট্যাংকার ‘ক্ল্যাভেল’,‘ফরেস্ট’, ‘ফ্যাকসন’ ও‘পতুনিয়া’ভেনিজুয়েলার জলসীমার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ভেনিজুয়েলা তেলসমৃদ্ধ দেশ হলেও সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির তেল শোধানাগারগুলো অচল হয়ে পড়ার কারণে পরিশোধিত তেলের অভাবে পড়ে দেশটি। এ অবস্থায় সম্প্রতি দু’দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ ও একতরফা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইরানের পাঁচটি তেল ট্যাংকার ভেনিজুয়েলার জন্য পরিশোধিত তেল ও তেলজাত পণ্য নিয়ে দেশটির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
এ খবর পাওয়ার পর ট্রাম্প প্রশাসন গত ১৪ মে হুমকি দেয়, ইরানের তেল ভেনিজুয়েলায় সরবরাহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে ওয়াশিংটন। পরবর্তীতে জাতিসংঘে নিযুক্ত ভেনিজুয়েলার স্থায়ী প্রতিনিধি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইরানি তেল ট্যাংকারকে বলপূর্বক বাধা দেয়ার হুমকি দিয়েছে। কোনো কোনো পশ্চিমা গণমাধ্যমে এ খবরও প্রকাশিত হয় যে, ইরানি তেল ট্যাংকারকে বাধা দিতে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে নৌবাহিনী পাঠিয়েছে।