
ঈদগাহে নয়, মসজিদেই ঈদের নামাজ
দেশের ঈদগাহগুলোতে এ বছর ঈদুল ফিতরের জামাত হবে না। তবে মসজিদে জামাতের অনুমতি রয়েছে। এ কারণে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান ও কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়ায় বৃহত্তম জামাত আয়োজনেরও কোনো তোড়জোড় নেই। বায়তুল মোকাররম মসজিদেই সকাল ৭টা থেকে পৌণে এগারটা পর্যন্ত পরপর পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও আরো বেশ কিছু মসজিদে একাধিক জামাতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মুসল্লির উপস্থিতি থাকলে প্রয়োজনে বাড়তি জামাতেরও ব্যবস্থা থাকবে জাতীয় মসজিদে।
বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি জামাত : বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কাল সোমবার সকাল ৭টা থেকে পৌণে ১১টার মধ্যে অনুষ্ঠেয় এসব জামাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা অংশ নিতে পারবেন। সকাল ৭টায় প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইসলাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায়। এতে ইমাম থাকবেন পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী। সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক ইমামতি করবেন। সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম।
সর্বশেষ জামাতটি অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান। পাঁচটি জামাতের কোনোটিতে ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মুফতী মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ। ঈদ জামাতে ১৩ দফা নির্দেশনা : এর আগে গত ১৪ মে ধর্ম মন্ত্রণালয় এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আসন্ন ঈদুল ফিতরের নামাজ খোলা জায়গা বা ঈদগাহে পড়া যাবে না। তবে নিকটস্থ মসজিদে পড়া যাবে। নামাজের সময় করোনার সকল স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য ১৩ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়।