You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ধর্ম যার যার, উৎসব সবার

এবার ঈদ উদযাপন হচ্ছে এক ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশে। করোনা নামক ভয়াবহ মারণব্যাধির কারণে মানুষের জীবন থেকে শান্তি ও স্বস্তি দূর হয়েছে। বেঁচে থাকা নিয়েই দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। আবার দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন লোকের সংখ্যাও বেড়েছে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ও বিদ্বেষ বেড়েছে। এই সংকটকালেও ধর্ম নিয়ে উদারতার অভাবও লক্ষ করা যাচ্ছে। আমাদের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে পাকিস্তানে। আমরা প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছি পাকিস্তানে। আর এটাও আমাদের সবার জানা যে, পাকিস্তান রাষ্ট্রটি ছিল সাম্প্রদায়িক। দ্বিজাতি তত্ত্ব ছিল পাকিস্তানের ভিত্তি। হিন্দুর জন্য আলাদা রাষ্ট্র, মুসলমানের জন্য আলাদা রাষ্ট্র। এই চরম সাম্প্রদায়িক ব্যবস্থাটি তখনকার রাজনীতির কারবারিরা মেনে নিয়েছিলেন। ভারতবর্ষ থেকে বৃটিশ তাড়ানোর আন্দোলন পরিণতি পেয়েছিল দেশভাগের মধ্য দিয়ে। ভাবা হয়েছিল, এভাবে ধর্মভিত্তিক দুইটি রাষ্ট্রের উদ্ভব হলে শান্তি আসবে, স্বস্তি আসবে, আসবে দুই ধর্ম বিশ্বাসী মানুষের জীবনে সমৃদ্ধি। হিন্দুর জন্য ভারত, মুসলমানের জন্য পাকিস্তান। দেশভাগের পর দেখা গেল চিত্র ভিন্ন হয়েছে। পাকিস্তানে হিন্দু থাকলো, ভারতে মুসলমান। দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে, রক্ত, অশ্রু, বেদনা-বিচ্ছেদের সকরুণ অসংখ্য কাহিনী তৈরি করেও ভারতকে মুসলমানমুক্ত করা যায়নি, পাকিস্তানকেও হিন্দুমুক্ত। সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে দেশ ভাগ হলো, এবং দুই দেশের রাজনীতিতেই সাম্প্রদায়িকতা স্থায়ীভাবে জায়গা পেয়ে গেল। যদিও ভারত রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে ধর্ম নয়, ধর্মনিরপেক্ষতাকে গ্রহণ করলো আর পাকিস্তান থাকলো ধর্ম নিয়েই। ধর্ম মানে ইসলাম ধর্ম। হিন্দুরা পাকিস্তানে থাকলো দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে। তাদের মর্যাদা এবং অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল। তারপরও নিরুপায় বিপুল সংখ্যক হিন্দু জনগোষ্ঠী পাকিস্তানে থেকে যায়। যেমন আমরা ছিলাম। কেমন দেখেছিলাম আমাদের মুসলমান প্রতিবেশী , এলাকাবাসী এবং বন্ধুদের? বলতে দ্বিধা নেই, আমরা যে তখন খুব অনিরাপদ বোধ করেছি কিংবা কথায় কথায় আমাদের সম্মানহানির ঘটনা ঘটতো তা কিন্তু নয়। মুসলমান বন্ধুদের সঙ্গে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সদ্ভাব নিয়েই আমরা থেকেছি, চলেছি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন