মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেশের ১ হাজার ৯৭৫টি তৈরি পোশাক কারখানার ১৯ লাখ ১৯ হাজার শ্রমিক এপ্রিল মাসের বেতন-বোনাস পেয়েছেন।শনিবার (২৩ মে) তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত এসব কারখানার শ্রমিকদের মোবাইলে সহজে বেতন-ভাতা পৌঁছাতে সহযোগিতা করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সেবাদানকারী তিনটি প্রতিষ্ঠান ব্রাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং ‘বিকাশ’, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ‘রকেট’ এবং বাংলাদেশ ডাক বিভাগের আর্থিক লেনদেন সেবা 'নগদ'।
এর মধ্যে ‘বিকাশ’ এর মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে এক হাজার ৮৬টি কারখানার ১০ লাখ ২ হাজার ৮৬ শ্রমিকের বেতন-ভাতা। রকেটের মাধ্যমে ৭২০টি কারখানার ৮ লাখ শ্রমিককে বেতন ভাতা দিয়েছে এবং নগদ এর মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে ১৬৯টি কারখানার ১ লাখ ১৭ হাজার শ্রমিকের বেতন-ভাতা। সব মিলিয়ে ১ হাজার ৯৭৫টি তৈরি পোশাক কারখানা তাদের ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৮৬ জন শ্রমিককে এপ্রিল মাসের বেতন-বোনাস মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেছে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্যাকেজ থেকে উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ পণ্য রফতানি করছে এমন সচল প্রতিষ্ঠান সুদবিহীন সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিয়ে ঋণ নিতে পারবে। তবে এ ঋণ দিয়ে শুধুমাত্র শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে। কোনোভাবেই কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা প্রদান করা যাবে না। একই সঙ্গে এ বেতন সরাসরি শ্রমিকের ব্যাংক বা মোবাইল অ্যাকাউন্টে দিতে হবে। নগদ টাকা প্রদান করা যাবে না।
এরপর থেকেই বাধ্য হয়ে পোশাক কারখানার মালিকরা তাদের শ্রমিকদের এমএফএস হিসাব খোলেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ লাখ শ্রমিক মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হিসাব খুলেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.