করোনায় দুইবার মৃত্যু ঘোষণা করা মেয়েটি বেঁচে উঠলো!

ইত্তেফাক প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২০, ২০:৫৭

দুইবার ‘মৃত্যু’! কথাটা শুনতে হয়তো অদ্ভুত লাগছে। কিন্তু মেয়েটিকে দুইবার মৃত বলে ঘোষণা করার পরও আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কভিংটন শহরের বাসিন্দা ১২ বছরের মেয়ে জুলিয়েট ডেলির সঙ্গে ঘটনাটি ঘটে। মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আমেরিকার অনেক শিশু ‘মাল্টি সিস্টেম ইনফ্লেমেটোরি সিনড্রোম’ আক্রান্ত। এ জন্য করোনা ভাইরাসকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। মাস খানেক আগে জুলিয়েটও ‘মাল্টি সিস্টেম ইনফ্লেমেটোরি সিনড্রোম’-এ আক্রান্ত হয়। প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি জুলিয়েটের অভিভাবকরা। কারণ তার শরীরে কোনও রকম অস্বস্তি বা ভাইরাসের উপসর্গ ছিল না। কিন্তু এর এক সপ্তাহ পর থেকে জ্বর, বমি আর তলপেটে ব্যথা শুরু হয় মেয়েটির।

কয়েকদিন পর জুলিয়েটের অভিভাবকরা লক্ষ্য করেন মেয়ের ঠোঁট নীলচে ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছে। এরপর মেয়েকে নিয়ে তারা ছুটে যান হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জুলিয়েটকে পরীক্ষা করে দেখেন। তার মধ্যে করোনা ভাইরাসের লক্ষণগুলি দেখতে না পেয়ে অন্যান্য পরীক্ষার পরামর্শ দেন। ঐ হাসপাতালের রেডিয়োলজি বিভাগের প্রধান জেনিফার ধারনা করেন, জুলিয়েটের হয়তো অ্যাপেন্ডিসাইটিসে বা পাকস্থলীতে কোনও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়েছে। এই অনুমানের ভিত্তিতেই চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু দ্রুত তার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে। চিকিৎসকরা দেখেন, জুলিয়েটের হৃৎস্পন্দনের গতি অস্বাভাবিক কমে গিয়েছে। সাধারণত, মিনিটে ৭০ থেকে ১২০ হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক, সেখানে জুলিয়েটের হৃৎস্পন্দন ছিল মিনিটে মাত্র ৪০ বার।


এরপরই তাকে জরুরি বিভাগে স্থানান্তরিত করে চিকিৎসা শুরু করা হয়। কিন্তু এরপর একটা সময় নিস্তেজ হয়ে যায় জুলিয়েট। নিয়ম মেনে সব রকম চেষ্টা করে দেখার পর চিকিৎসকরা জুলিয়েটকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত ঘোষণার মিনিট খানেক পর চিকিৎসকদের চমকে দিয়ে কেঁপে কেঁপে উঠতে থাকে মেয়েটির শরীর। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন।


এরপর কিছুক্ষণের জন্য জুলিয়েটের হৃৎস্পন্দন প্রায় বন্ধ হয়ে গেলেও ফের সচল হয়ে যায়। মেয়েটির ফুসফুসে কোনোভাবে রক্ত ঢুকে যাওয়ার ফলে এমনটা হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। এমনটা আরো একবার, মোট দুবার ঘটে জুলিয়েটের সঙ্গে। চিকিৎসকরা জানান, জুলিয়েটের এই অবস্থার জন্য দায়ী আসলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। খবর: জিনিউজ ইত্তেফাক/জেডএইচ

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও