সিয়াম-সাধনার শেষ সময় অতিবাহিত করছেন মুমিন মুসলমান। চূড়ান্ত আত্মশুদ্ধি অর্জনের পথে রোজাদার। মাসব্যাপী রোজা পালন, তারাবিহ, তাহাজ্জুদ ও ক্ষমা লাভের তাওবায় রোজাদার এ মর্মে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন যে, আগামী জীবনে আর গোনাহ করবেন না। রোজাদার পাপমুক্ত জীবন গঠনে ব্রতী হবেন। এ রমজান থেকে মুমিন বান্দা মহান প্রভুর অনন্য ৩টি গুণ গ্রহণ করেছেন।
মাহে রমজান মানুষকে মহান প্রভুর যে তিনটি গুণের শিক্ষা দিয়েছে, তাহলো-- কথা কম বলা।- অল্প ঘুমের অভ্যাস আর- সীমিত পানাহার করা। রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজানে রোজাদার বান্দা গরিব-অসহায় মানুষের ক্ষুধার যন্ত্রণা অনুভব করেছেন। আল্লাহ তাআলা যে উদ্দেশ্যে বান্দার প্রতি রোজা ফরজ করেছেন, সে মোতাবেক রমজানে রোজাদার যে প্রশিক্ষণ লাভে ধন্য হয়েছেন, নিজেদের জীবন করেছেন আলোকিত, তাহলো- - আল্লাহর ভয় অর্জনের শিক্ষারোজা হচ্ছে আত্মিক ইবাদত যাকে বাহ্যিক দৃষ্টিতে দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।
তাই রোজাদার মনে প্রাণে আল্লাহকে ভয় করে এবং ভালোবেসেই আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নে রোজা রাখে। আল্লাহকে ভয় করেই রোজাদারের সারাদিন পানাহার ত্যাগ করেছেন। তাকওয়া অর্জনে ব্রতী হয়েছেন। এ ভয় বা তাকওয়ার ঘোষণাই আল্লাহ তাআলা এভাবে দিয়েছেন-'হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়াবান হতে পার।' (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)রোজাদারের এ ভয় এবং ভালোবাসা বছরের বাকি ১১ মাস বিরাজমান থাকা জরুরি।
তবেই মুমিন বান্দার রমজানের রোজার প্রশিক্ষণের সফলতা লাভ করবে। - ধৈর্যের শিক্ষারমজান মাসকে সবরের মাস বলা হয়। রোজাকে সবরের অর্ধেক বলা হয়েছে। এ মাসেই বান্দা সবরের শিক্ষা লাভ করে। সবরকারীর জন্য রয়েছে অগণিত পুরস্কার। রোজা মানুষকে আল্লাহর হুকুম পালনে ধৈর্যশীল ও পরমসহিষ্ণু হতে শেখায়। আল্লাহ তাআলা বলেন-'বলুন, হে আমার বিশ্বাসী বান্দাগণ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। যারা এ দুনিয়াতে সৎকাজ করে, তাদের জন্যে রয়েছে পুণ্য। আল্লাহর পৃথিবী প্রশস্ত। যারা সবরকারী, তারাই তাদের পুরস্কার পায় অগণিত।'
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.