প্রজাপতির কথা মনে হতেই অনেকেই গেয়ে ওঠেন- ‘প্রজাপতি, প্রজাপতি, কোথায় পেলে ভাই এমন রঙিন পাখা? টুকটুকে লাল নীল ঝিলিমিলি আঁকাবাঁকা, কোথায় পেলে ভাই এমন রঙিন পাখা?’ সত্যিই রং বেরঙের প্রজাপতি প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় হাজারগুণ। পৃথিবীতে এদের আবির্ভাব ঘটেছিল প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিলিয়ন বছর পর্বে। এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রায় ২০ হাজার প্রজাতির প্রজাপতির দেখা পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ ইউনিয়নের (আইইউসিএন) তথ্য মতে বাংলাদেশেই রয়েছে ৩০৪ প্রজাতির প্রজাপতি।
জানেন কি? অনিন্দ্য সুন্দর এই প্রজাপতির জীবন চক্র মাত্র অল্প কিছুদিনের। এর রয়েছে নানা মজার ও আকর্ষণীয় অনেক তথ্য। যেগুলো আপনাকে মুগ্ধ করবে পতঙ্গটির রূপের মতোই। কাদা থেকে পানি পান করা, পা দিয়ে স্বাদ গ্রহণ, কম দৃষ্টিশক্তি, ঠাণ্ডায় জমে যাওয়াসহ রয়েছে মজার সব তথ্য। ডেইলি বাংলাদেশের সাতরংয়ের আয়োজনে থাকছে রঙিন এই পতঙ্গটির নানা অজানা কথাই। তবে চলুন জেনে নেয়া যাক সেসব-
জীবনচক্র
রঙিন এই পতঙ্গটির জীবনকাল মাত্র কিছুদিনের। প্রজাপতি কত দিন বাঁচে সেটা নিয়ে মতভেদ আছে। তবে প্রজাতিভেদে প্রজাপতিরা এক সপ্তাহ থেকে এক বছরও বাঁচতে পারে। সাধারণত প্রজাপতির জীবনকাল হয়ে থাকে এক মাসেরও কম। প্রজাপতির জীবনচক্রের চারটি ধাপ রয়েছে। এগুলো হলো- ডিম, লার্ভা, পিউপা এবং পরিণত প্রজাপতি।
ডিম- স্ত্রী প্রজাপতি সাধারণত পাতার ওপর ডিম পাড়ে। এই ডিমগুলোর চারপাশে কোরিওন নামের এক ধরনের শক্ত আবরণ থাকে। আর ডিমগুলো যাতে পাতা থেকে না পড়ে যায় তার জন্য এক ধরনের আঠালো পদার্থ দিয়ে আটকানো থাকে পাতার সঙ্গে। কোনো কোনো প্রজাপতি কেবল নির্দিষ্ট কোনো গাছের পাতাতেই ডিম পাড়ে।
আবার কোনো কোনো প্রজাপতি ডিম পাড়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট গাছকে বেছে নেয়। ডিম অবস্থায় বেশ কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় অতিবাহিত হয়। শীতের আগে আগে ডিম পাড়া হলে সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রাখা হয় এবং শীত শেষ হলে বসন্তে ডিম ফোটে বাচ্চা বের হয়। অনেক প্রজাপতি আবার বসন্তে ডিম পাড়ে এবং সেগুলোর বাচ্চা ফোটে গ্রীষ্মে।
লার্ভা- প্রজাপতির ডিম ফুটে লার্ভা বের হয়। এগুলোকে ইংরেজিতে ক্যাটারপিলার, বাংলায় বিছা বা শুঁয়োপোকাও বলা হয়ে থাকে। এরা খুব দ্রুত বড় হয় এবং এদের বড় হওয়ার জন্য প্রচুর খাবার দরকার হয়। সাধারণত গাছের পাতা খেয়ে থাকে এরা। দুয়েকটি প্রজাপতি অবশ্য পতঙ্গও খেয়ে থাকে। লার্ভা থেকে পিউপা হওয়ার জন্য কয়েকদিন সময় লাগে। এই সময়ের শেষ ভাগেই ডানা তৈরি হয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.