করোনাভাইরাস মহামারীতে লকডাউনের কারণে চিড়িয়াখানাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর দর্শনার্থী না থাকায় তাদের আয়ও নেমে গেছে শূন্যের কোঠায়। এ কারণে চিড়িয়াখানাগুলোর কর্তৃপক্ষকে পশুপাখির খাদ্যের জোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ইন্দোনেশিয়ার একটি চিড়িয়াখানা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, আগামী মাসেও যদি এভাবে তাদের চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকে, তাহলে সুমাত্রার বাঘ ও জাভার চিতাবাঘের মতো প্রাণীদের খাওয়াতে অন্য পশুপাখি জবাই করতে হতে পারে।
তারা বলছে, যদিও ৮৫০টি প্রাণীকে স্বাভাবিকের চেয়ে কম খাওয়ানো হচ্ছে।ইন্দোনেশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহরের বান্দুঙ চিড়িয়াখানাটি সাধারণত দর্শনার্থীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৮১ হাজার ডলার আয় করে। অথচ গত ২৩ মার্চ কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে লকডাউনে চিড়িয়াখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। চিড়িয়াখানাটির মুখপাত্র সুলফান সায়ফিই বলেন, আমাদের প্রায় ৩০টি হরিণ রয়েছে। আমরা সুমাত্রার বাঘ ও জাভার চিতাবাঘের মতো মাংসাশী প্রাণীদের বাঁচাতে হরিণগুলোর মধ্যে থেকে জবাই করার জন্য বয়স্ক ও বন্ধ্যা হরিণগুলো বাছাই করেছি।
রাজহংসীর মতো কিছু পাখিকেও জবাই করা হতে পারে।তিনি বলেন, বিপন্ন সুমাত্রা বাঘের মতো বড় বিড়াল প্রজাতির প্রাণীরা প্রতিদিন আগে ১০ কেজি মাংস পেলেও এখন তাদের ৮ কেজি মাংস দেয়া হচ্ছে। চিড়িয়াখানায় প্রতিদিন ৪০০ কেজির বেশি ফল এবং ১২০ কেজি মাংসের দরকার পড়ছে। এখন পশুপাখিদের বাঁচিয়ে রাখতে অনুদানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।চিড়িয়াখানার একজন কর্মী ফৌজান জুলফিকার বলেন, কুমির ও বাঘগুলো এখনো স্বাস্থ্যবান রয়েছে। তবে সিংহগুলো খানিকটা হাড্ডিসার হয়ে গেছে।ইন্দোনেশিয়া জু অ্যাসোসিয়েশন বলছে, দেশের ৬০টি চিড়িয়াখানার মধ্যে ৯০ শতাংশই কেবল মে মাসের শেষ অবধি তাদের প্রাণীদের খাওয়ানোর সামর্থ্য রাখে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.