‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই আম্পানে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে’
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই সুপার সাইক্লোন আম্পানে দেশে ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির কক্ষে সাংবাদিকদের মাঝে করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ সভায় তিনি একথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, যখনই দেশে কোনো দুর্যোগ আসে তখন জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটান। আম্পানের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সারারাত তিনি মনিটরিং করেছেন এবং তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে। এর আগেও তিনি যেভাবে সবাইকে নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলা করেছেন, তা পৃথিবীর সামনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে এক অনন্য উদাহরণে পরিণত করেছে।
অপরদিকে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিএনপির শুধু সিদ্ধান্তের অভাবে এক ডজন যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যেগুলো ঝড়ের আগে উড়িয়ে ঢাকা বা যশোরে আনলেই রক্ষা পেত উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, সেইসাথে অনেকগুলো জাহাজ শুধু আরও উজানে নোঙর না করার কারণে নোঙর ছিঁড়ে ডাঙায় উঠে এসেছিল। আর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর পর সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন- যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা, তত প্রাণহানি হয়নি।
দলের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, বিএফইউজে'র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ সভায় বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী এসময় নানা গুজবের বিরুদ্ধে মূলধারার সাংবাদিকরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অনলাইন নিউজপোর্টালের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় যে কাজ শুরু করেছিল, তা দ্রুততার সঙ্গে করা হবে। একইসঙ্গে ঈদের পরপরই গুজব রটনাকারী ভুয়া অনলাইন পোর্টালগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
করোনায় সাংবাদিকরা সম্মুখযোদ্ধা এবং সারা দেশে ছুটি হলেও সাংবাদিকদের কোনো ছুটি নেই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাংবাদিকদের সাথে রয়েছে, সবসময় ছিলো এবং থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনায় সংকটে পড়া সাংবাদিকদের এককালীন জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে দেবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন ড. হাছান। এটি ঈদের পর শুরু হবে এবং এ সহায়তা কারা পাবেন, সাংবাদিক ইউনিয়নই তা ঠিক করবে, বলেন মন্ত্রী।
বাহাউদ্দিন নাসিম তার বক্তব্যে বলেন, অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের বেতন দিতে কার্পণ্য করে, এটা ঠিক নয়।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি নজরুল কবীর, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, দৈনিক বর্তমানের প্রধান প্রতিবেদক মোতাহার হোসেন প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.