ভেন্টিলেটর তৈরি করে আফগান মেয়েদের চমক
ভেন্টিলেটর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরঞ্জাম। কভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে বর্তমানে বিশ্বজুড়েই গুরুত্বপূর্ণ এ চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট দেখা দিয়েছে। এমন সময় অন্য দেশের সহায়তার দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেরাই গাড়ির যন্ত্রাংশ দিয়ে ভেন্টিলেটর বানিয়ে দেশকে উপহার দিল যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের মেয়েরা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, আফগান মেয়েদের তৈরি এ ভেন্টিলেটর আগামী মে মাসের দিকে বাজারে আসবে। এর দাম হবে অনেক কম।
ভেন্টিলেটর তৈরি করা দলটির নাম ‘আফগান ড্রিমার্স’। এ দলের অন্যতম সদস্য নাহিদ রাহিমি।
রাহিমি বলেন, ‘আমরা যদি অন্তত একটি জীবনও রক্ষা করতে পারি তবে সেটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৯০ লাখের কাছাকাছি। অথচ দেশটিতে রয়েছে মাত্রা মাত্র ৪০০টি ভেন্টিলেটর।
‘আফগান ড্রিমার্স’ দলের সবার বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। তারা যে ভেন্টিলেটর তৈরি করছে তাতে ব্যবহার করা হয়েছে পুরনো টয়োটা করোলা গাড়ির মটর এবং হোন্ডা মোটরসাইকেলের চেইন ড্রাইভ।তারা বলছে, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যায় থাকা রোগীদের সাময়িক স্বস্তি দেবে তাদের এই ভেন্টিলেটর। যতক্ষণ ভালো মানের একটি পাওয়া না যায়।
দল নেতা সুমাইয়া ফারুকি বলেন, আমাদের চিকিৎসক ও নার্সরা এ সময়ে দেশের হিরো। তাদের সহযোগিতায় কিছু করতে পেরে গর্ব অনুভব করছি। কাজ ৭০ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে। হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষায় সফলতাও এসেছে। মে মাসের শেষ দিকে এটি বাজারে আসবে।
বর্তমানে বিশ্বে ভেন্টিলেটরের তীব্র সংকট রয়েছে। আর যা বিক্রি হচ্ছে তার দাম পড়ছে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার। আর আফগান মেয়েদের তৈরি করা ভেন্টিলেটরের দাম পড়বে ৬০০ ডলারেরও কম।
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিশেষ পুরস্কার জিতে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছিল ‘আফগান ড্রিমার্সের’ মেয়েরা।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আফগানিস্তানের ৮ হাজার ৬৭৬ জন। এতে প্রাণ গেছে ১৯৩ জনের।