ঝূর্ণিঝড় আম্পান : কলকাতা বিমানবন্দর যেন একটি নদী!
টানা প্রায় ছয় ঘণ্টাব ধরে উপকূলসহ কলকাতা শহরের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। তাই শহরের অনেক স্থাপনার তছনছ হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরও।
ঝড়ের সঙ্গে ভারি বৃষ্টিতে কলকাতার নেতাজী সুভাস চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অনেকাংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে অনেক অবকাঠামোরও।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানবন্দরের অন্তত একটি টারমাক, কয়েকটি রানওয়ে ও হ্যাঙ্গার পানিতে তলিয়ে গেছে। বিমানবন্দরের একটি অংশে কয়েকটি হ্যাঙ্গারের ছাদ ধসে পড়েছে। একটি উড়োজাহাজকে হাঁটু সমান পানিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, অব্যবহৃত দুটি হ্যাঙ্গার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মেরামতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেলে ৫টা পর্যন্ত বিমানবন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে এবং পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত ১৭ জন মৃতের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে সুপার ঘূর্ণিঝড় আম্পানকে ‘করোনাভাইরাসের চেয়ে বড় বিপর্যয়’বলে বুধবার মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি বিদ্যুৎ সরবরাহকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং অনেক বাড়িঘর, সেতু এবং বাঁধ ধ্বংস করেছে ... ঘূর্ণিঝড় আম্পান কোভিড-১৯-এর চেয়ে বড় একটি বিপর্যয়।’
মমতা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘রাজ্যের পুরো দক্ষিণাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা হতবাক। ক্ষয়ক্ষতিটি নির্ধারণ করতে তিন থেকে চার দিন সময় লাগবে।’