জনসন'স বেবি পাউডারে ক্যান্সার!
ক্যান্সার সৃষ্টির অভিযোগে বিচারাধীন জনসন'স বেবি পাউডার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাজারে বিক্রি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন। কভিড-১৯ সম্পর্কিত কম্পানিটির পোর্টফোলিও পুনর্মূল্যায়নের পর মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত আসে। স্বাস্থ্যসেবা পণ্য প্রস্তুতকারক যুক্তরাষ্ট্রের এই শিল্পগোষ্ঠী জানিয়েছে, দেশটির ভোক্তা স্বাস্থ্য ব্যবসার প্রায় দশমিক ৫ শতাংশ দখলে রাখা এই বেবি পাউডার বিক্রি সামনের মাসগুলোতে বন্ধ রাখা হবে। তবে যেসব খুচরা বিক্রেতার কাছে পণ্যটির মজুদ আছে তারা বিক্রি করতে পারবেন।
জনসন'স বেবি পাউডারসহ কম্পানিটির ট্যালকম পণ্যগুলো ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী অভিযোগে জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের ১৬ হাজারের বেশি মামলা রয়েছে, যার বেশির ভাগ নিউ জার্সিতে বিচারাধীন। কম্পানিটির ট্যালকম পণ্যগুলোর মধ্যে কার্সিনোজেন বা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী হিসেবে সুপরিচিত 'অ্যাসবেস্টস' নামে এক ধরনের দূষিত পদার্থ রয়েছে বলে এসব মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। তবে 'কয়েক দশকের বৈজ্ঞানিক গবেষণার' কথা তুলে ধরে 'জনসন'স বেবি পাউডারের নিরাপত্তা'র বিষয়ে অবিচল আস্থার কথা বরাবরই বলে আসছে জনসন অ্যান্ড জনসন। গত এপ্রিলে নিউ জার্সির এক বিচারক হাজার হাজার বাদীর মামলা আমলে নিলেও বিচারে কোন বিশেষজ্ঞরা সাক্ষ্য দেওয়ার অনুমতি পাবেন সে বিষয়ে সীমা টেনে দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) পরিচালিত পরীক্ষায় বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টসের 'নিম্ন মাত্রার' উপস্থিতি পাওয়ার পর গত ডিসেম্বরে জনসন অ্যান্ড জনসন বলেছিল, তাদের পরীক্ষায় অ্যাসবেস্টস পাওয়া যায়নি। এফডিএর ওই পরীক্ষার পর অক্টোবরে জনসন'স বেবি পাউডারের একটি লট বাজার থেকে তুলে নিতে বাধ্য হয় কম্পানিটি। জনসন অ্যান্ড জনসন এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রধানত ভোক্তা অভ্যাসে পরিবর্তন এবং তার সঙ্গে পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে অপপ্রচার ও মামলার বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণার মুখে উত্তর আমেরিকায় জনসন'স ট্যালকম বেবি পাউডারের চাহিদা কমে যাচ্ছে। কয়েক দশক ধরে পরিচিত জনসন অ্যান্ড জনসনের পণ্যের মধ্যে অ্যাসবেস্টস রয়েছে বলে ২০১৮ সালের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল রয়টার্স।