সুরক্ষা সামগ্রী না থাকায় শঙ্কায় শেরপুরের কৃষি কর্মকর্তারা
করোনাকালে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই কৃষকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন শেরপুরে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কমৃচারীরা। মাঠে কাজ করতে গিয়ে করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে জেলার ২১৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। এ বিষয়ে কয়েক দিন আগেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এখনো সাড়া মেলেনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহিত কুমার দে বলেন, করোনা প্রতিরোধক মাস্ক, পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্য সকল সুরক্ষা সামগ্রী সরকার থেকে সরবরাহ করলে কৃষি বিভাগের কর্মীরা আরও উৎসাহ পাবে। নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে কাজ করতে পারবে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, ‘প্রতিনিয়ত কৃষকদের সেবা দেওয়া ছাড়াও দরিদ্রদের মাঝে সরকারের দেওয়া খাদ্যসামগ্রী বিতরণে কাজ করতে হচ্ছে আমাদের। এদিকে বোরো মৌসুমে লটারির মাধ্যমে কৃষকদের থেকে ধান কেনার সময় প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। এর বাইরে কৃষকদের মাঝে শস্য বীজ ও সার বিতরণ করা হচ্ছে। এসব কাজ শঙ্কা নিয়েই করছি।’
তিনি জানান, করোনা সুরক্ষা সামগ্রী চেয়ে ঢাকার খামারবাড়ির কৃষি ক্যাডার এসোসিয়েশন এবং ডিপ্লোমা কৃষিবিদ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হলেও এখনও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, ‘আমরা যখন কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটতে মাঠে যাই, তখন বহু কৃষকের সমাগম হয়। এছাড়া মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিতে হয় অন্যদিকে অনেক কৃষক পরামর্শ নিতে অফিসে আসে। এসময় তাদের দুরত্ব বজায় রাখতে বললেও তারা কথা শোনেনা।’