কলকাতা শহরেও অতিমারি আতঙ্ক ও লকডাউন কবলিত। শ্মশানে দু’একজন নিকট আত্মীয়, দাহ হলেন বাংলা সাহিত্যের এক মহান স্রষ্টা, একক ও নিঃসঙ্গ। কিন্তু সময়টা ভিন্ন রকম হলে এই দৃশ্যটাও ভিন্ন হতো, হতোই, এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। আবার এ কথাও বলা যায়, মৃত্যুতেও তিনি একাকিই থেকে গেলেন, যেমন ছিলেন। রাজনৈতিক অবস্থানে, তাঁর সাহিত্যে, ব্যক্তি-জীবনেও শেষের গুটি কয়েক দিন, তিনি স্বতন্ত্র ও একা।
তাঁর সত্তার অনেকটা জুড়েই ছিলো কৈশোরের যাপিত জনপদের মানুষ ও সমাজ এবং সমাজতান্ত্রিক দর্শন। স্বাতন্ত্র্য নিয়ে নিজের মতো ব্যাখ্যায় সেখানেও ক্রমশ একক হয়ে থাকা। যে দর্শন তার আত্মদর্শন ছিলো তার ভিত তৈরি হয়েছিলো তাঁর কৈশোরকালেই। ‘দেখতে দেখতে উত্তাল ছেচল্লিশ এলো। সেই দূর মফস্বলেও এসে আছড়ে পড়ল নৌ-বিদ্রোহের ঢেউ, এই.এন.এ মুক্তির দাবি, রসিদ আলি দিবসের শ্লোগান, ডাক-তার ধর্মঘট, আরও কত কী! সেই ঢেউয়ের পর ঢেউয়ের মধ্যে দম ফেলার মতো অবকাশ ছিলো না। আমি তখন বড়জোর ক্লাস ফোর-ফাইভে পড়ি। সেইসব সময়ে আমার বন্ধুরা মিলে আমাকে কমিউনিস্ট বানিয়ে দিল।
ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ, ঠাট্টা-তামাশার লক্ষ্য হয়ে আমি একা একা কমিউনিস্ট হয়ে গেলাম। সেই একা একা কমিউনিস্ট আমাকে অনেক দিন থেকে যেতে হল।…আমারই মতো আরও কয়েকজন একলা কমিউনিস্ট শহরের রাস্তা দিয়ে চোঙা ফুঁকে চেঁচাতে চেঁচাতে গেলাম… আর হঠাৎ সেই বালক-মনে নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ হল, আমি আর একলা কমিউনিস্ট নই, আমি কখনই একলা ছিলাম না।’ কিন্তু বাস্তবিকই কি তিনি একলা ছিলেন না! মৃত্যুর পর নানা চর্চা ও গুঞ্জনের মধ্যেও সেই কথাটাই ভেসে আসছে, দেবেশ রায়—এক, একক ও নিঃসঙ্গ সাহিত্য-যোদ্ধা, ১৯৫৫ থেকে ২০২০ মে, আমৃত্যু কলম-যোদ্ধার অক্লান্ত লড়াইয়ের শেষে রণক্ষেত্রে একা একাই নিঃসঙ্গ দহনে পঞ্চভূতে লীন হয়ে গেলেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.