কাঁপতে কাঁপতে মরল ১৬ হাজার মুরগি
করোনার প্রভাবে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছেন বরিশাল জেলার অধিকাংশ উপজেলার মুরগির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত খামারিরা। এরইমধ্যে নতুন করে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউপির তিনটি গ্রামের ২০টি খামার। ওইসব খামারে অজ্ঞাতরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ১৬ হাজার সোনালি মুরগি মারা গেছে।
গত তিনদিনে গৌরনদীর ইল্লা, ডুমুরিয়া ও কমলাপুর গ্রামের ২০টি খামারে এসব মুরগি মারা গেছে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতি খামার থেকে মরা মুরগির নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য বরিশাল গবেষণাগারে পাঠিয়েছেন।
খাঞ্জাপুর ইউপিতে ছোট বড় শতাধিক পোল্ট্রি মুরগির খামার রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৭০টি সোনালি লেয়ার মুরগির খামার। যার অধিকাংশ খামার ইল্লা, ডুমুরিয়া ও কমলাপুর গ্রামে।
ইল্লা গ্রামের খামারী ভূমিহীন লিপি বেগম জানান, তার অসুস্থ স্বামী ফরিদ হাওলাদারসহ তিন সন্তান নিয়ে তিনি সাইদুল সরদারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। স্থানীয় ডিলার শংকর তফাদারের কাছ থেকে বাকিতে ৪ হাজার সোনালি মুরগির বাচ্চা ও খাবার এনে তিনি দুটি খামারে পালন করেন। করোনাভাইরাসের কারণে মুরগি বিক্রির সময় হলেও তা বিক্রি করতে পারেননি।
বর্তমানে প্রতিটি মুরগি এক কেজির উপরে ওজন হয়েছে। শনিবার সকালে মুরগির খাবার দিতে গিয়ে তিনি দেখতে পান খামারের অধিকাংশ মুরগি মরে পড়ে রয়েছে। বাকি মুরগির শরীর কাঁপছে এবং মুখ দিয়ে পানি ঝরছে। এভাবে কিছু সময় পর পর আক্রান্ত মুরগি কাঁপতে কাঁপতে মারা যায়।