লকডাউনেও পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক অশান্তি

ডয়েচ ভেল (জার্মানী) প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২০, ১৭:০৩

গোটা বিশ্ব যখন করোনার সঙ্গে লড়াই করছে, তখন পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। যদিও প্রত্যক্ষদর্শী এবং বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই বক্তব্য, এই সাম্প্রদায়িক অশান্তি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে 'তৈরি' করা হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত গত ১০ মে কলকাতা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে হুগলির তেলিনিপাড়ায়। স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য, করোনাকে কেন্দ্র করে এলাকার হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। দ্রুত যা আরও ভয়াবহ চেহারা নিতে শুরু করে। ১০ তারিখের পরে ১২ তারিখেও ফের অশান্তি চরম আকার নেয়। অভিযোগ, বহু মুসলিমের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। দোকান এবং বাড়িতে লুঠপাট চালানো হয়। হিন্দুরাও পাল্টা আক্রমণের অভিযোগ তুলেছেন।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মুসলিম এলাকা। যুদ্ধক্ষেত্রের নাম উত্তর পূর্ব দিল্লি হিংসার স্তূপ চার দিন ধরে ধ্বংসলীলা চলেছে উত্তর পূর্ব দিল্লির এই এলাকায়। অনেক বাড়ি র আস্ত নেই। ছাই হয়ে গিয়েছে সব কিছু। যুদ্ধক্ষেত্রের নাম উত্তর পূর্ব দিল্লি এটাই ঘর কয়েক দিন আগেও এটাই ছিল এক দম্পতির সুখের সংসার। হিংসার পর তাঁরা পালিয়ে বেঁচেছেন। বাড়ির ভিতরের চিত্র এখন এটাই। মাঝ রাতে হানা মধ্য রাতে আক্রমণ হয়েছিল এই বাড়িতে। সব কিছু ভএঙে তছনছ করে দেওয়ার পরে এ ভাবেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখনও উড়ছে ধোঁয়া।

পাথরের রাস্তা রাস্তা জুড়ে এ ভাবেই পড়ে আছে পাথর। এখনও সময় সময় চলছে পাথর বৃষ্টি। পরিষ্কার করার সাহসও কেউ দেখাচ্ছেন না। গাড়ির শো রুম এক বহুজাতিক সংস্থার গাড়ির শো রুম এটি। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি গাড়ি। এখানে ছিল চায়ের দোকান। আগুনে ছাই হয়ে গিয়েছে সব। চার দিন পরে নিজের দোকানের সামনে আসার সাহস পেয়েছেন এই মহিলা। পাশেই ছিল তাঁর ঘর। তারও আর কোনও অস্তিত্ব নেই।

এ ভাবেই পড়ে আছে পোড়া বাইক, স্কুটার, রিকশ। বাতাসে পোড়া মোবিলের গন্ধ। পেট্রোল পাম্পের পাশে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল টায়ার কারখানা। আপাতত এলাকার দখল নিয়েছে পুলিশ। ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। গাড়ির কঙ্কাল টায়ার কারখানার পাশে এ ভাবেই পড়ে আছে পোড়া গাড়ি, বেকারির ভ্যান। এটাই রান্নাঘর রান্না বসিয়ে ছিলেন এই বাড়ির গৃহকত্রী। তখনই হামলা হয়। সব ছেড়ে পালিয়ে যান সকলে। গোটা রান্না ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এ ভাবেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও