কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘‌‌‌‌‌তার মৃত্যু সংবাদ আমাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে'

সমকাল প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২০, ১৬:৩৯

'জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো', 'ভালোবাসার মূল্য কত', 'ও চোখে চোখ পড়ছে যখনই', 'এক বুক জ্বালা নিয়ে বন্ধু তুমি'সহ বহু গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন তিনি। বাঙলা খেয়ালের প্রবর্তক, গায়ক, সুরকার, গীতিকবি ও সংগীত পরিচালক আজাদ রহমান গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন প্রথিতযশা গায়িকা ফেরদৌসী রহমান।

আজাদ রহমানের মৃত্যু সংবাদ আমাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। তিনি আপন ভাইয়ের চেয়েও বেশি কিছু ছিলেন আমার কাছে। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। ফোন দেব দেব করেও দেওয়া হয়নি। ভাবলাম, অসুস্থ মানুষটাকে ফোন দিয়ে জ্বালাতন না করাই ভালো। সুস্থ হলে বাসায় গিয়ে দেখা করে আসব। কিন্তু... এখন আর তার সঙ্গে দেখা হবে না- ভাবতেই পারছি না। মনের ভেতর কষ্ট যেমন হচ্ছে, অনুশোচনাও হচ্ছে। প্রতিবছর আমাদের আব্বাস উদ্দীন সংগীত একাডেমির যেকোনো আয়োজনে তিনি উপস্থিত থাকতেন। অসুস্থতার কারণে এ বছর আসতে পারেননি। কিন্তু ফোনে সব খোঁজখবর নিয়েছেন।

আজাদ ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় প্রায় ৫৫ বছরের। আজাদ ভাই যখন ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে রেডিওতে চাকরি শুরু করলেন, তখন থেকে। প্রথম রেডিওতে একসঙ্গে কাজ করা। এরপর যথাক্রমে টেলিভিশন, সিনেমা ও মঞ্চে। তার সঙ্গে কাটানো সময়গুলো ভীষণ মনে পড়ছে। কোনো একটি গানের কথা লেখা হলেই আজাদ ভাই সেই গানের গল্প বলতেন। ফলে গান গাওয়া আমাদের জন্য অনেক সহজ হয়ে যেত। সেই সময়ে যেহেতু আমি ক্লাসিক্যাল গান বেশি করতাম, সে কারণে কোনো ক্লাসিক্যাল গান সুর করলেই আমাকে গানটি গাইতে বলতেন। আমিও সেটা গাইতাম। আজাদ ভাই মাটির মানুষ ছিলেন। আমাকে সবসময় বোনের মতো আদর করতেন, আমিও নানান সময় বিভিন্ন ধরনের হুটহাট আবদার করতাম। কখনও কোনো গান লেখা বা সুর করতে হলে তার কাছে যেতাম। বলতাম- আজাদ ভাই, গানটি এখনই করে দিতে হবে।' তিনি কখনও না করতেন না। বলতেন- 'আমি কাল তোর বাড়ি এসে গানটি নিয়ে বসব।' এতটাই আপন ছিলেন আজাদ ভাই। ওনার চলে যাওয়া শুধু আমার নয়, সংগীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।তার চরিত্রের সবচেয়ে বড় গুণ ছিল কখনও কারও সঙ্গে রাগারাগি করতেন না। তার অমায়িক ব্যবহার আমাকে ভীষণভাবে আর্কষণ করত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও