ঘুড়ি ওড়ানো সেই বিকেল আবারও ফিরে এসেছে!

প্রতিদিনের সংবাদ প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২০, ১৬:৪১

‘আমাদের যুগে আমরা যখন আকাশের তলে উড়িয়েছি শুধু ঘুড়ি,/তোমরা এখন কলের জাহাজ চালাও গগন জুড়ি’ সুফিয়া কামালের লেখা ‘আজিকার শিশু’ কবিতা মনে করিয়ে দেয় শৈশবে ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দময় স্মৃতি। করোনার লকডাউনে অবসরে অনেকটাই ফিরেছে সেই বিকেলগুলো।  স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিশু-কিশোররা যেমন ঘুড়ি উড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, তেমনই অফিস-আদালত ও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বড়রাও ঘুড়ি উড়ানোর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এখন বিকেল হলেই খুলনা অঞ্চলের অধিকাংশ ভবনের ছাদ এবং মাঠে-ময়দানে দেখা মিলছে ঘুড়ি উড়ানোর উৎসব।

ঘুড়িপ্রেমীরা জানায়, শীতের শেষে বসন্তের আগমনে প্রকৃতি যখন জেগে উঠতো, তখন গ্রামের বিলগুলোতে চলতো ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতা। প্রত্যেক কিশোরের হাতে থাকতো লাটাই ও সুতা। আকাশে উড়তো বিচিত্র নামের রঙিন ঘুড়ি। এর মধ্যে ছিল চিলঘুড়ি, বেত, ডাক, সাপ, মাছ, মানুষ ও তারাঘুড়ি। সিমেন্টের কাগজের বস্তা থেকে সংগ্রহ করা বাঁশপাতা কাগজ, কিংবা সাদা রা রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি হতো ঘুড়ি। তার সঙ্গে প্লাস্টিকের বস্তা থেকে তোলা পাতলা সুতা কিংবা বেত ও বাঁশের পাতলা চ্যাটা একটি ধনুকের মতো ছড়ের সঙ্গে বিশেষভাবে বেঁধে ঘুড়িতে জুড়ে দিলে উড়ান্ত ঘুড়ি থেকে সুরেলা শব্দ শোনা যেতো। একে ডাক ঘুড়ি বা বেনা ঘুড়ি বলা হতো। ইদানিং খুলনার অনেকেই বাড়ির ছাদে নিজেদের ঘুড়ি উড়ানোর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করছেন। এসব ছবি দেখে অনেকেই ফিরে যাচ্ছে সেই পুরোণো স্মৃতির দিকে। এখনকার চিত্র দেখলে মনে হচ্ছে—সেই ঘুড়ি ওড়ানো বিকেলগুলো হয়তো আজ আবারও ফিরে এসেছে।

স্কুল শিক্ষার্থী তামিম শেখ ও আসিফ ফরাজীসহ চার শিশু-কিশোরকে দেখা যায় ভরদুপুরে একটি স্কুলের মাঠে ঘুড়ি উড়াতে। তারা নিজে তৈরি বিশেষ ঘুড়িটির নাম দিয়েছে, ব্যাত চিল্লে (বেতঘুড়ি)। রাতে উড়ানোর জন্য ঘুড়িতে যুক্ত করেছে ব্যাটারির চালিত বাতি, যা রাতে জ্বলবে। তারা জানায়, স্কুল বন্ধ, তাই নিজেরা ঘুড়ি বানিয়ে উড়াচ্ছি। গ্রামের কিশোরদের কাছে ঘুড়ি তৈরি সহজ মনে হলেও ব্যতিক্রম শহরে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরের শিশু-কিশোরেরা বেশির ভাগই ঘুড়ি কিনে উড়িয়ে থাকে। এ কারণে শহরের অধিকাংশ মুদি দোকানেই এখন মিলছে ঘুড়ি। সাধারণ কাগজের তৈরি প্রতিটি ঘুড়ির মূল্য ৫ টাকা হলেও বিশেষভাবে তৈরি চিলঘুড়ি অথবা অন্য যে কোন ডিজাইনের ঘুড়ির দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।  খুলনা নগরীর দক্ষিণ টুটপাড়া বড় খালপাড় এলাকার মুদি দোকানি মো. আসাদুজ্জামান জানান, দোকানে এখন প্রচুর পরিমাণে ঘুড়ি বিক্রি হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, স্কুল বন্ধ থাকায় শিশু-কিশোররা ঘরে বন্দি হয়ে পড়েছে। তাই বিকেলে একটু আনন্দ পেতেই তারা ঘুড়ি উড়াতে মেতে উঠছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও