পিএসসি, জেএসসি বাদ দিয়ে সিলেবাস কমান
অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে এই করোনাকালে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থীরাও। শিশু শ্রেণি থেকে মাস্টার্স, পিএইচডি পর্যন্ত কমবেশি সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঘরে অবরুদ্ধ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে কিংবা অফলাইনে নিজে নিজে পড়াশোনা করে ক্ষতিপূরণের কাজ কিছুটা এগিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু মুশকিলে পড়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের প্রায় দুই কোটি শিক্ষার্থী। চলতি শিক্ষাবছরে তারা হয়তো আর মাত্র চার মাস সময় পাবে। সাধারণ অবস্থায় গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও রমজানের ছুটি মিলিয়ে তাদের দেড় মাস চলে যায়। কিন্তু সেই ছুটির আগেই তারা জানত ছুটিতে কী করতে হবে। কিন্তু এ বছর সে সুযোগটা হয়নি।
সংবাদমাধ্যমে জানা গেল, সরকার ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চিন্তা করছে। আরও বলা হয়েছে, বর্তমান ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দুই ধরনের ভাবনা আছে। একটা হলো সিলেবাস কমিয়ে শিক্ষাবর্ষ ডিসেম্বরে শেষ করা। অন্যটি হলো সিলেবাস না কমিয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টেনে নেওয়া। এই সংবাদ থেকে মনে হচ্ছে, স্কুল খোলার পরপরই যাবতীয় পরীক্ষা নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হবে। এমনিতে জুন মাসে ষাণ্মাসিক পরীক্ষা হওয়ার কথা, এবার হয়তো স্কুলগুলো আগস্টে হলেও এই পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করবে যদি না তাদের নিবৃত্ত করা হয়। কারণ, আমাদের দেশে শিক্ষার আরেক নাম হলো পরীক্ষা। কী পড়া বাকি রয়ে গেল, সে বিষয়ে কিছু না করে পরীক্ষায় কী আসবে, তা নিয়ে শুরু হয়ে যাবে হইহল্লা।