মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হবে ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’?

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২০, ২০:৩৮

সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আজ শনিবার ( ১৬ মে) রাতেই গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘আমফান’। ঝড়টি কোন উপকূলে আছড়ে পড়বে তা নিশ্চিত করে এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগুবে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর। এদিকে, করোনা পরিস্থিতির এই সময় ঘূর্ণিঝড় এলে উপকূলবাসীর জন্য জন্য এটি হবে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। করোনার কারণে যেখানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার কথা বার বার বলা হচ্ছে সেখানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে কী হবে তা নিয়েই সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কায় আছেন। তবে দুর্যোগ অধিদফতর জানায়, তারা সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপটি আজ রাতেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। গতির কারণে মনে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ অথবা বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে এটি। যে কোনও নিম্নচাপের গতি প্রথম দিকে কম থাকে। এখন গতি কম থাকায় গতকাল থেকে খুব বেশি এগোয়নি নিম্নচাপটি। কিন্তু রাতেই এটি গতি আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করবে। যত এগিয়ে আসবে ততই এর এগিয়ে আসার গতি এবং ঘূর্ণন গতি দুইই বাড়তে থাকবে। এবারের ঝড়টি নাম আমফান। ঝড়টির নাম দিয়েছে থাইল্যান্ড।’

করোনার এই মহামারি সময় এই ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলবাসীর নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মহসিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখনও এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়নি। কিন্তু আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেয়েই উপকূলীয় জেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছি। করোনার এই সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তো গাদাগাদি করে রাখা যাবে না কাউকে। তাই আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও বন্ধ থাকা স্থানীয় স্কুল-কলেজগুলোর চাবি সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে যাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে উপকূলবাসীকে আশ্রয় দেওয়া যায়।’

আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আজ শনিবার দুপুরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। এখন নিম্নচাপটি আরও সামান্য পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান জানান, এটি আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও